কলকাতার ফুটপাথের খাবার, বইমেলা পেল রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের বিশেষ স্বীকৃতি। এমনিতে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন অ্যাক্ট, ২০০১’ অনুযায়ী কেবলমাত্র স্থাপত্যকেই দেওয়া যায় ‘হেরিটেজ’-এর মর্যাদা। কিন্তু একটা শহরের ইতিহাস, সংস্কৃতি তো স্থাপত্যের বাইরেও নানাকিছুতে লেপ্টে থাকে। যেমন, সেই শহরের উৎসবে, শিল্পকথার বিশিষ্টতায়, খাবারে। সেই কারণেই, সরাসরি ‘হেরিটেজ’ তকমা না দেওয়া গেলেও হেরিটেজের প্রায় সমগোত্রেরই একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। আর সেই বিশেষ তালিকাতেই স্থান করে নিয়েছে বইমেলা আর কলকাতার ফুটপাথের খাবার।
অনেক খাদ্যরসিকই মনে করেন, কলকাতার ফুটপাথের খাবারের মতো এমন উপাদেয় ‘স্ট্রিট ফুড’ ভারতবর্ষে কোথাও মেলে না। কচুরি, আলুর দম, চা, বিরিয়ানি, টোস্ট, রোল, ঘুগনি, স্টু, কুলফি, রাবড়ি, লস্যি, চাউমিনের স্বাদের বাহার কলকাতার রাস্তায়-রাস্তায় ছড়ানো। খাবারের তালিকা চাইলেই বাড়ানো যায়। আর আছে কলকাতার উৎসব। দুর্গাপুজো ছাড়া যেমন কলকাতাকে চেনাই যায় না, তেমনই কলকাতার ‘বড়দিন’-এর মেজাজও আলাদা।
তবে, কলকাতার সঙ্গে বইমেলা আর চলচ্চিত্র উৎসবও যেন সমার্থক হয়ে উঠছে দিন-দিন। বিশেষ করে কলকাতা বইমেলা আসলে কলকাতার বই-পাগল, কবি-পাঠকদের একটা মিলনক্ষেত্র। এমন চরিত্রের বইমেলা গোটা দেশে আর হয় কি? এই দুটি উৎসবও তাই ঠাঁই করে নিয়েছে হেরিটেজের বিশেষ তালিকায়।