ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে কলকাতায় ৫০০০-এর বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেবারের তথ্য অনুযায়ী দেশের চতুর্থ দুর্ঘটনাপ্রবণ রাজ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু ব্যুরোর শেষ রিপোর্ট কিন্তু তুলে ধরেছে সম্পূর্ণ অন্য এক ছবি। ২০১৯ সালে গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটেছে মাত্র ২৬৭টি। আর দেশের সমস্ত বড়ো শহরের মধ্যে এই সংখ্যাটা সর্বনিম্ন। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সাল থেকেই কলকাতায় দুর্ঘটনার সংখ্যা দেশের সমস্ত বড় শহরের থেকে কম। টানা ৪ বছর এই পরিসংখ্যান কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের মাথায় সত্যিই এক নতুন পালক যোগ করেছে।
কলকাতা দেশের তৃতীয় জনবহুল শহর। তার মধ্যে ট্রাফিকের ব্যবস্থায় বেশ পুরনো। সব মিলিয়ে অ্যাক্সিডেন্টের ঘটনা খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তার পরেও মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, প্রতি লাখ জনসংখ্যায় মাত্র ২.৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে কলকাতায়। যে সংখ্যাটা দিল্লি শহরের ক্ষেত্রে ২৭.৭ এবং মুম্বইয়ের ক্ষেত্রে ৫০.২। তবে এর পরেও সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। তার কারণ সামগ্রিক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমলেও শহরে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ট্রাফিক বিভাগের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শহরে দুর্ঘটনার নানা কারণ থাকে। সার্ভেলিয়েন্স সিস্টেমের অক্ষমতা তো থাকেই, সেইসঙ্গে খারাপ রাস্তাঘাটও অন্যতম কারণ। বিগত ৪ বছর ধরে এই সমস্ত বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। এবার মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিষয়টাও নজর দিয়ে দেখা হবে।
২০১৭ সালে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে আসে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রোগ্রাম। নানা ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জোর দেওয়া হয় সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও। সামগ্রিকভাবে তাতে সুফল পাওয়া গেলেও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা আদৌ সচেতন হচ্ছি কি? তবে শহরকে নিরাপদ করে তুলতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতেই হবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
রাজ্যের রূপান্তরকামীদের জন্য প্রথম ‘আস্তানা’ দক্ষিণ কলকাতায়