শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণে নয়, মানুষের শিকার ও অকারণে হত্যা করায় পৃথিবীতে ক্রমশ কমে আসছে বাঘের সংখ্যা। একসময় জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াত ভারতের এই জাতীয় পশু। কিন্তু নানা কারণে তাদের সংখ্যা কমে গেছে অনেকটাই। তাই জনসচেতনতা বাড়াতে ৩৬০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন কলকাতার এই দম্পতি।
কিন্তু এ-লড়াই শুরু হয়েছে প্রায় দশ মাস আগে। ফেব্রুয়ারিতে যখন সুন্দরবন থেকে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা, তখন ভাবতেও পারেননি আগামী দশ মাস কেমন যাবে। এই সময়ে তাঁরা একটানা দেশের পঞ্চাশটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে ঘুরেছেন। অবশেষে, পালামৌ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে গত সোমবার সকালে তাঁরা রাঁচি পৌঁছোন।
বাইক চড়তে ভালোবাসেন অনেকেই, তেমনই ভালোবাসা রয়েছে রবীন্দ্রনাথ দাসেরও। কিন্তু পরিবেশ ও প্রাণী সচেতনতার কারণে ৩৬০০০ কিমি পথ বাইকে পাড়ি দেবার ঘটনা বিরল। খাদ্য শৃঙ্খলে বাঘেদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের বিলুপ্তি ঘটলে তার প্রভাব পড়বে অনান্য প্রাণীদের ওপরও। মানুষের মধ্যে যাতে সচেতনতা বাড়ে, সে কারণেই এমন অসাধ্যসাধন এই দম্পতির।
বাঘ গ্রামে ঢুকলে অনেকসময়ই তাদের মেরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু জঙ্গলে খাদ্যাভাব হলেই যে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে তা জানেন না অনেকেই। শুধু খাদ্য নয়, দরকার যথেষ্ট সবুজায়নও, এমনটিই মত এই দম্পতির।
বিভিন্ন প্রাণী শিকারের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন রবীন্দ্রনাথ দাস। কিন্তু শুধু মাত্র বাঘেদের সংরক্ষণ করতে এমন উদ্যোগ আগে কেউ কখনও নিয়েছেন বলে জানা যায়নি। তাঁদের এ-লড়াই আগামী দিনে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে বলেই অনেকের বিশ্বাস।