যন্ত্রটির নাম ‘মাইনাস ২.৫’। আবিষ্কর্তা আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র দেবায়ন সাহা। যন্ত্রটি এঁটে যাবে যে কোনও গাড়ির সাইলেন্সার পাইপের মধ্যেই। কিন্তু আকারে ছোট হলেও পরিবেশ রক্ষায় বিশাল অবদান রাখতে পারে দেবায়নের আবিষ্কৃত এই মাইনাস ২.৫।
আবিষ্কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, যে কোনও গাড়ির সাইলেন্সার পাইপের মধ্যে এই যন্ত্রটি রাখলে তা সেই গাড়ির ক্ষেত্রে তো বটেই, উপরন্তু আরও দশটি গাড়ি যে পরিমাণ বায়ু দূষণ করে তার ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সক্ষম। বায়ু দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলা দেবায়ন জানাচ্ছেন, দূষিত বায়ুর মধ্যে থাকে পিএম ২.৫ নামের অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি উপাদান। এই কণাটির অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারই যাবতীয় শারীরিক ক্ষতির মূল কারণ। অতি ক্ষুদ্র আকারের কারণে এটি সহজেই আমাদের ফুসফুস এবং রক্তনালী এবং জালিকাগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। তার আবিষ্কৃত যন্ত্রের সাহায্যে এই পিএম ২.৫ অনেকটাই বাগে আনার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
দেবায়নের 'মাইনাস ২.৫' যন্ত্রের মধ্যে দিয়েও সূক্ষ ধূলিকণা পিএম ২.৫-ই বেরোবে, কিন্তু তাতে তৈরি হবে চৌম্বকত্ব। ফলে, অন্যান্য সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে আকর্ষণ করবে তারা। বলে, বহু কণা মিলে সেগুলি ভারী হয়ে যাবে অর্থাৎ পরিণত হবে পিএম ১০০ বা পিএম ২০০-তে। এবং, ভারের কারণে থিতিয়ে পড়বে নিচে।
সম্প্রতি অতি দূষিত বায়ুর কবলে থাকা শহরগুলির মধ্যে উপরের দিকে নাম এসেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সহ আরও বেশ কিছু শহর এমনকি কলকাতারও। তবু দ্রুত গতির যান্ত্রিক জীবনের কারণে রাশ টানা যায়নি যানবাহনের থেকে নিঃসৃত কার্বনের উপর। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেবায়নের এই আবিষ্কার আমাদের ফুসফুসকে ফিরিয়ে দেবে কিছুটা হলেও বিশুদ্ধ অক্সিজেন, সেটাই আশা।