কেরালার বিধ্বংসী বিমান-দুর্ঘটনার পর এখনও বিমান চলাচল শুরু হয়নি কালিকট বন্দরে। সব বিমানই ঘুরে যাচ্ছে কান্নুর কিংবা কোচিন বন্দরে। ফলে সময়ও লাগছে খানিকটা বেশি। একে তো করোনা পরিস্থিতি, তার মধ্যে এমন দুর্ঘটনা যেন এক মর্মান্তিক সময়কে ডেকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এই সময়েই যেন মনুষ্যত্বকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারছি আমরা। দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে মানুষের দিকে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরেক মানুষ।
বিমান অনেকটা ঘুরে অন্য বন্দরে নামার ফলে সময় লাগছে বেশ খানিকটা বেশি। আর এই দীর্ঘ যাত্রার পর সবাই যথেষ্ট ক্লান্ত। সেইসব ক্লান্ত আরোহীদের জন্যই বন্দরে খাবারের প্যাকেট নিয়ে উপস্থিত বেশ কিছু যুবক। যাত্রীদের কেউ কেউ তাঁদের ছবি তুলে ধরেছেন সামাজিক মাধ্যমে। আর সেই ছবি সারা দেশে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
শুধু খাবারের প্যাকেট নিয়ে নয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সমস্তরক সতর্কতা নিয়েও যে যেভাবে পারছেন সাহায্যের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। দুর্ঘটনার পরেই আমরা দেখেছি কালিকট বন্দরের আশেপাশের মানুষ পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। দমকল কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন বন্দি যাত্রীদের উদ্ধার করতে। কেউ আহত ব্যক্তিদের টেনে বের করার চেষ্টা করছেন তো কেউ বাইরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন যাতে অ্যাম্বুলেন্স আসতে সমস্যা না হয়। এইসব কাজে সবসময় যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব, তা অবশ্য নয়। রীতিমতো ঝুঁকি নিয়েই মানুষ দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন। কিন্তু বিপদের সময় এমন মানবিক দৃশ্যই যেন বারবার ফিরে ফিরে আসে আমাদের পৃথিবীতে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ভিনদেশে জীবিকা হারিয়ে ফিরছিলেন বাড়িতে, কেরালার বিমান দুর্ঘটনায় ফুরোল সেই যাত্রাও