ইচ্ছা থাকলে, কোনকিছুতেই বয়স এবং শরীর বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ছোট থেকে এই কথাটা আমরা সবাই শুনে এসেছি। কেরালার ভাগীরথী আম্মাও নিশ্চয়ই শুনেছিলেন। তাই, ‘মাত্র’ ১০৫ বছর বয়সে এসে আবারও শুরু করেছেন পড়াশোনা। তাঁর ইচ্ছার মাঝখানে কখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বয়স।
১০৫ বছর বয়সে আমরা যদি পৌঁছোই, নতুন করে আবার সব শুরু করার ইচ্ছা কি থাকবে? উত্তর জানা নেই। কিন্তু একশো পেরনো আম্মার সেই ‘শক্তি’ দেখে মুগ্ধ সবাই। ছোটবেলাতেই মা মারা যায় তাঁর। সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর ঘাড়ে। ফলে কোপ পড়ে পড়াশোনায়। বন্ধ হয়ে যায় সবকিছুই। নিজের ভাইবোনদের বড় করা, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব, ছেলে-মেয়ে, নাতি নাতনি— সবকিছু মিলিয়ে ব্যস্ত জীবন। কিন্তু, মনের ভেতর কোথাও সেই পড়াশোনার ইচ্ছেটা থেকে গিয়েছিল সবসময়। আর সেটাই পূরণ করার পথে ‘১০৫’-এর এই তরুণী।
কেরালার স্টেট লিটারেসি মিশনের অধীনে বিশেষ প্রকল্পে এই পড়াশোনা শুরু করেছেন আম্মা। শিক্ষকরা বলছেন, বয়স একশো পেরোলে কি হবে, তাঁর দৃষ্টিশক্তি, শোনার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি সমস্তই বেশ তরতাজা রয়েছে এখনও। তার থেকেও বড় কথা, জীবনের শেষ লগ্নে এসেও তাঁর শিক্ষার প্রতি এই নিবিড় আগ্রহ, এবং নিষ্ঠা। আর সেটাকেই শ্রদ্ধা জানাই আমরা।