আসামের বন্যার জল এখন অনেকটাই কমে গেছে। জল কমলেও ক্ষয়ক্ষতি কম হয়নি এই বন্যায়। মানুষের ক্ষতি হয়েছে যেমন, পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে বন্যপ্রাণীদেরও। এরই মধ্যে জানা গেল এক চাঞ্চল্যকর খবর।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান যখন বন্যার জলে ভেসেছে, তখন পশুদের রক্ষা করতে পারছে না কৃত্রিম উঁচু জমি। অনেক পশুই উঁচু জমিতে ওঠার চেষ্টা করেছে। কিছু প্রাণী আবার জল থেকে উঠে বাঁচার চেষ্টা করতে পারেনি। মারা গিয়েছে জলের মধ্যেই।
কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্কে বর্তমানে ১৪৪টি উঁচু জমি আছে। কিন্তু এইভাবে বন্যা থেকে বাঁচার জন্য উঁচু জমির ব্যবহার কি বন্যপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য উপযুক্ত?পরিবেশবিদরা তা মনে করেন না। এই বছরই বন্যায় প্রায় ২০০টি প্রাণী মারা গেছে, যার মধ্যে ১৮টি ছিল একশৃঙ্গ গন্ডার। বন্যা থেকে বাঁচার জন্য এই কৃত্রিম উঁচু জমি শুধুমাত্র গন্ডাররাই ব্যবহার করেছে। হরিণ ও হাতি সহ অন্যান্য প্রাণী এখনও তাদের প্রাকৃতিক উঁচু জমিতেই সরে যায়। এই বিপর্যয় সম্পর্কে জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ এখনও স্পষ্ট করে কোনো জবাব দেননি। তবে তাঁরা নতুন কোনো উঁচু জমি তৈরি বদলে পুরানো জমিগুলিকে সংস্কার করবেন বলে জানিয়েছেন।