ভারতেরই অঙ্গরাজ্য কাশ্মীর, অথচ তার ইতিহাস থেকে শুরু করে জনজীবন সবই আলাদা। খবরে তাই কাশ্মীরের কথা উঠলেই সবাই সচেতন হয়ে ওঠেন। এই খবর নিশ্চই আর পাঁচটা খবরের মতো স্বাভাবিক হবে না। কাশ্মীরজুড়ে এইসব অস্বাভাবিকতা নিজের চোখে দেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেইসব দৃশ্য তুলে রেখেছেন ক্যামেরায়। তাঁর ক্যামেরাই কাশ্মীরের ছবি তুলে এনেছে বাইরের পৃথিবীর সামনে। এবার ম্যাগনাম ফাউন্ডেশনের তালিকায় ১১ জন চিত্রসাংবাদিকের মধ্যে জায়গা কাশ্মীরের চিত্রসাংবাদিক সানা ইরশাদ মাট্টু।
সম্প্রতি সারা পৃথিবী থেকে নমিনেশনের ভিত্তিতে ম্যাগনাম ফাউন্ডেশন বেছে নিয়েছে এবছরের ‘ফটোগ্রাফি অ্যান্ড স্যোসাল জাস্টিস ফেলো’ তালিকা। সারা পৃথিবী থেকে ১১ জন চিত্রসাংবাদিক এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। ম্যাগনাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর নানা জায়গায় হিংসা, আইনি অচলাবস্থা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মুখে দাঁড়িয়ে যাঁরা খবর সংগ্রহ করে আনেন তাঁরা সত্যিই এক একজন হিরো। তাঁদের সম্মান জানাতে এক দশক ধরে এই ফেলোশিপ দিয়ে আসছে সংস্থা।
এর আগেও ২০১৬ সালে ম্যাগনাম ফাউন্ডেশন থেকে ফেলোশিপ পেয়েছিলেন সানা ইরশাদ। বর্তমানে তিনি রয়টার্স পত্রিকার হয়ে ছবি সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয়বার ফেলোশিপ পেয়ে আবারও খুশি তিনি। তাঁর কথায়, শুধুই মৃতেরা নয়, উর্দু ভাষায় মৃত্যুর সাক্ষীরাও এক একজন শহীদ। আর শহীদের পাওয়া বা হারানোর কিছুই থাকে না। যে কোনো মুহূর্তে মৃত্যু হতে পারে, জানেন সানা ইরশাদ। কিন্তু সত্যকে তুলে আনাই যে তাঁর কাজ।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মানুষের নির্বাচনে বিশ্বসেরা ফটোগ্রাফার স্টিভ আরউইন-পুত্র রবার্ট