নানা রঙের আলোয় সেজে উঠেছে কাশ্মীরের ডাল লেক। সন্ধ্যায় জলের মধ্যে নৌকাবিহার করছেন পর্যটকরা। তবে সকলেরই চোখ হ্রদের ঠিক মাঝখানে। সেখানে বিরাট পর্দায় চলছে সিনেমা। নৌকায় ঘুরতে ঘুরতেই সিনেমা দেখছেন পর্যটকরা। গত শুক্রবার উদ্বোধন হল এই অভিনব থিয়েটারের। কাশ্মীরে তো বটেই, এশিয়ার মধ্যেও এমন উদ্যোগ এই প্রথম। আর গোটা বিষয়টি নিয়ে তাই স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটকরা, সকলেই বেশ উত্তেজিত। উত্তেজিত কাশ্মীরের (Kashmir) স্থানীয় শিল্পীরাও। সেইসঙ্গে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রতিটা মানুষ।
শুক্রবার ভাসমান এই থিয়েটারের (Floating Cinema Hall) উদ্বোধনের আগে নেহরু পার্ক থেকে কবুতরখানা পর্যন্ত মশাল নিয়ে মিছিল করেন কাশ্মীরের শিল্পীরা। মিছিলের মধ্যেই চলে স্থানীয় লোকগান ও লোকনৃত্যের পরিবেশন। তারপর শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ভাসমান থিয়েটারটির উদ্বোধন করেন কাশ্মীরের পর্যটন ও সংস্কৃতি সচিব সারমাদ হাফিজ। তিনি জানান, এই উদ্যোগ কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে অনেকটাই মজবুত করবে। কোভিড অতিমারীতে অর্থনৈতিকভাবে বড়ো ধাক্কা খেয়েছে কাশ্মীর। কারণ পর্যটন শিল্পই অধিকাংশ মানুষের উপার্জনের উৎস। তবে ভ্যাক্সিনেশনের মাধ্যমে এবার ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে পর্যটন। আর কাশ্মীরে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটা মানুষকে ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভাসমান থিয়েটারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ডাল লেকের শিকারা এবং হাউসবোটের চালকরা। এতদিন খুব অল্প সময়ের জন্যই নৌকা চালানোর সুযোগ পেতেন তাঁরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুব কম মানুষই আসতেন। বিকালে চাহিদা বাড়ত অনেকটাই। কিন্তু সূর্য ডুবলেই নৌকা বাঁধতে হত তাঁদের। ভাসমান থিয়েটারের কারণে সন্ধ্যাতেও পর্যটকরা নৌকায় চড়বেন বলে আশা করছেন চালকরা। তাছাড়া কাশ্মীরের লোকশিল্পীরা তো রয়েছেনই। তাঁরাও এই থিয়েটারে নিজেদের তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। শুক্রবার বলিউডের সিনেমা ‘কাশ্মীর কা কালি’-র প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই থিয়েটারের উদ্বোধন হয়। বলিউডের সঙ্গে কাশ্মীরের সম্পর্কও বহুদিনের। কাশ্মীরকে ফটোগ্রাফি হাব বলে মনে করেন বলিউডের অনেক চিত্রনির্মাতা। এই থিয়েটারের মাধ্যমে বলিউডের সঙ্গে কাশ্মীরের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন
ক্রমাগত মিশছে বিষ, সবুজ আগাছায় ভরে উঠেছে ডাল লেক
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ডাল লেকে ভাসমান এটিএম, চমক এসবিআই-এর