গত কয়েক মাস ধরেই নিষেধাজ্ঞা আর সরকারি ফতোয়ায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা জম্মু ও কাশ্মীরকে। সাধারণ জন জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ছোট খাটো ব্যাবসায়ীদেরও। বাদ নেই কাশ্মীরের আপেল বিক্রেতারাও। উপত্যকার আপেল চাষিরা বর্তমানে বড়োসড়ো ক্ষতির মুখে। ফলত আপেল রপ্তানিতে বাধা পড়ছে ব্যবসায়ীদের।
কাশ্মীরে মরশুমি আপেল চাষে প্রায় বারোশো কোটি টাকা বার্ষিক আয় হয়। সাধারণত এ-সময়ই সারা বছরের আপেল প্যাকিং করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশে ও বিদেশে। গত একমাস বাজার বন্ধ। বাইরে আপেল পাঠানো বন্ধ হওয়ায় রীতিমতো বড় সমস্যার মুখে সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে খদ্দের এবং পণ্যবাহী ট্রাকের সংস্থান জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার ফলে উত্তর কাশ্মীরের বৃহত্তম ফলবাজার সাপোর ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত অচল। আপেলচাষিরা ভয় পাচ্ছেন, জমে থাকা এত আপেল পচে নষ্ট না হয়ে যায়।
শুধু সরকারি নয়, সন্ত্রাসবাদী ফতোয়াতেও বাধ্য হয়ে আপেল বিক্রি করা বন্ধ করতে হয়েছিল সেখানকার ব্যবসায়ীদের। নির্দেশ অমান্য করায় সাপোরের আপেলচাষি মহম্মদ আশরফদার এবং তাঁর পাঁচ বছর বয়সের শিশুকন্যাকে হত্যা করা হয়।
জাতীয় কৃষি সমবায় ফেডারেশন সরাসরি চাষিদের থেকে আপেল কিনে নিতে উদ্যোগী। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজ বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র এবং কৃষিমন্ত্রক। এটুকু আশার আলোই এখন ভরসা আপেল চাষিদের। তবে তাতে আদৌ ফলের লাভ কতটা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত আপেল ব্যবসায়ীরা।