বেসরকারি স্কুল। তাই শিক্ষকদের বেতন সম্পূর্ণভাবেই নির্ভরশীল শিক্ষার্থীদের ওপরে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই করোনার জেরে টানা বন্ধ স্কুলের পঠনপাঠন। ফলে বন্ধ হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপার্জন। তার বিকল্প খুঁজতেই এবার স্কুলেই চাষাবাদ শুরু করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সামনে এল এমনই বিরল ঘটনা।
কর্ণাটকের চিকমাগালুর জেলার কদুর তালুকের শান্তিনিকেতন সেন্ট্রাল স্কুল এখন কার্যত বদলে গেছে কৃষি খামারে। বিদ্যালয় ভবন লাগোয়া আড়াই একর জমিতেই চলছে চাষের কাজ। স্কুলের শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারীরাই সেখানে ফুল চাষ করছেন। পরিচর্যা করছেন শিম, বেগুন, মরিচ, লঙ্কা এবং অন্যান্য সব্জির। পাশাপাশি কাজে লাগানো হচ্ছে স্কুলের ক্লাস রুমগুলিকেও। চলছে সাধারণের জন্য কৃষি কর্মশালা।
তবে এমন ছবি শুধু এই স্কুলের ক্ষেত্রেই নয়। আর্থিক সংকট কাটাতে এভাবেই লড়ছে তামিলনাড়ুর একাধিক বেসরকারি স্কুল। ছাত্রদের খেলার মাঠই সেখানে বদলে গেছে জৈব কৃষিজমিতে। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত ৮ মাস। এখনও ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কবে থেকে শুরু হবে স্বাভাবিক পঠনপাঠনের কর্মসূচি। কাজেই আয়ের পথ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আর কোনো উপায় না দেখে, এই পথেই নেমেছেন ‘শিক্ষাজীবী’রা...
Powered by Froala Editor