গত কয়েক বছরের ভারতের দিকে তাকালে, দেখা যাবে একের পর এক বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি। ধর্ম নিয়ে হানাহানি, নাগরিকত্বের দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে কাশ্মীর-সমস্যা এবং সাম্প্রতিক ধর্ষণকাণ্ড – সারা দেশ উত্তাল হয়েছে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে। রাষ্ট্রযন্ত্র বারংবার বন্ধ করে দিতে চেয়েছে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ। আর এর বিরুদ্ধেই সম্প্রতি বাঙালিরা অস্ত্র করেছেন কবীর সুমনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গানের লাইন ট্রেন্ডিং হচ্ছে আবার। #ভাগ্যিসসুমনছিলেন – এই হ্যাশট্যাগে নাগরিকরা শেয়ার করছেন সুমনের লেখা।
সেই পাগল, যে ‘সাপলুডো খেলছে বিধাতার সঙ্গে’, কিংবা ‘দশ ফুট বাই দশ ফুট’-এর সাধারণ নাগরিকদের ছবি সুমন এঁকেছিলেন তাঁর গানে। নব্বইয়ের দশক থেকেই তাঁর গান ভাবিয়েছে বাঙালিকে, প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। গোটা একটা প্রজন্মের কাছে প্রেম ও প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিল সুমনের গান। সেই আচ্ছন্নতা সঞ্চারিত হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও। বর্তমান টুইটার ব্যবহারকারীরা তাই সুমনের ভাষায় বলে উঠছেন –
‘কেনা যায় কণ্ঠ আমার দফা দফা
রুজি রোজগারের জন্যে করছি রফা।
দু’হাতের আঙুলগুলোও কিনতে পারো
আপোষেও নেই আপত্তি নেই আমারও।’
সুমনই একসময় আমাদের শুনিয়েছিলেন – ‘এই প্রেমহীন সময়ে বলছি তোমায় ভালোবাসি/এই অন্ধকারেই চলো জোনাকিকে ডেকে নিয়ে আসি।’ চিনিয়েছিলেন অনাবিল শৈশবকে – ‘ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চাগুলো’। তাঁর গান এই অসম্ভব শক্তিকে ধারণ করে বলেই, এর ধ্বংস নেই। সুমনের গানের ফুলকি তাই ফিরে আসছে আবার। ক্যাসেট বা মঞ্চে নয়, টুইটারের মতো সমসাময়িক মাধ্যমের হাত ধরে...