আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল সেই জীবাশ্ম। তবে সেইভাবে গবেষণা হয়নি তাকে নিয়ে। এবার সংরক্ষিত জীবাশ্মের পর্যবেক্ষণেই বিজ্ঞানীরা তুলে আনলেন নতুন তথ্য। স্বাভাবিক ইকথিওসোরাস বলে এতদিন ধরে নিলেও সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাণীটি, এমনই দাবি তুললেন গবেষকরা।
ডোরসেটের ইংলিশ চ্যানেলের উপকূলীয় অঞ্চলে লেট জুরাসিক ডিপ মেরিন ডিপোসিটে এতদিন সংরক্ষিত ছিল জীবাশ্মটি। জুরাসিক যুগের শেষের দিকে সমুদ্রে রাজত্ব করত এই সাঁতারু সরীসৃপ। বিজ্ঞানীদের দাবি, ইকথিওসোরাস গোত্রের প্রাণী হলেও বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে এই জীবাশ্মটির মধ্যে।
বছর খানেক আগে এই জীবাশ্মের বিষয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েই বেশ কিছু তফাৎ চোখে পড়েছিল গবেষকদের। কিন্তু ব্রিটেনে ইকথিওসোরাসের জীবাশ্ম পাওয়া বিরল। সে কারণেই সম্পূর্ণ গবেষণায় লেগে যায় অনেকটা সময়। বেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মেগান জেকবস জানান, সদ্য আবিষ্কৃত এই সামুদ্রিক দানবের নাম ‘থ্যালাসড্রাকো এচি’। যার অর্থ সামুদ্রিক ড্রাগন। আবিষ্কার হওয়ার পর নমুনাটি ডরসেটের কিমারিজ জুরাসিক মেরিন লাইফ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত হয়েছে।
তবে নতুন আবিষ্কৃত এই জীবাশ্ম থেকেই উঠে আসছে বিবর্তনের চাঞ্চল্যকর তথ্য। আট ফুট দৈর্ঘ্যের প্রাণীটির পাঁজরের খাঁচার সঙ্গে স্পার্ম হোয়েল প্রজাতির তিমির অদ্ভুত সাদৃশ্য রয়েছে বলেই জানান বিজ্ঞানীরা। তবে জুরাসিক যুগে এই প্রাণীর অবলুপ্তির বহু বছর পর সেখান থেকে কীভাবে তিমির বিবর্তন হল, সেই জায়গায় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বিজ্ঞানীদের।
Powered by Froala Editor