গোপন খবর ফাঁস করে সকলের নজরে এসেছিল উইকিলিক্স নামের একটা সংস্থা। রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন তাঁর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদকীয় প্রধান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু বর্তমানে ভালো নেই তাঁর শরীর। ব্রিটেনের বেলমার্শ জেলে বন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতেই মারা যেতে পারেন তিনি। চিকিৎসকদের একাংশ এই মর্মে সে-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে চিঠিও লিখেছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ধর্ষণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করেছে সুইডেন। তবুও স্বস্তি কমেনি তাঁর। চরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকা তাঁকে কাঠগড়ায় তুলতে চায় শীঘ্রই। ফলে সেই অভিযোগ এড়াতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত মাসে আদালতে শুনানির সময় তাঁর চেহারায় ধরা পড়েছিল গভীর অসুস্থতা। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের লেখা চিঠিতে তাঁরা অ্যাসাঞ্জের শরীরের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নাহলে যে কোনো সময় বিপদ হয়ে যেতে পারে। বয়সের কারণে ইতিমধ্যেই দুর্বল হয়েছে তাঁর শরীর।
২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন বোমাবর্ষণের গোপন সামরিক ফাইল প্রকাশ করার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু এ-মূহূর্তে এসব মামলার চেয়েও তাঁর শরীরকে সুস্থ রাখা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই।
আগামী দিনে রায়ের ফলাফল কী হবে, কেউ জানে না। চিঠি দেওয়ার পর অ্যাসাঞ্জের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কী বলেন, এখন সেটাই দেখার।