'Civil Asset Forfeiture' নিয়ে গ্যারি ওয়েবের আর্টিকল প্রকাশিত হওয়ার কিছুকাল পরেই, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে কোরাল বাচা নামে এক সুন্দরী হিস্প্যানিক মহিলা। বক্তব্য - আমার বয়ফ্রেন্ড মাদক-পাচারে অভিযুক্ত, বিচারাধীন। সাক্ষীদের সম্বন্ধে জানলে বুঝবেন, এই সব কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রশাসনিক দুর্নীতি।
মাদক-চক্র এবং 'ক্র্যাক এপিডেমিক' দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু কড়া আইন আনা হয়। এমনকি, শুরু হয় সিভিল অ্যাসেট ফোরফিচার - কেউ মাদক-পাচারের সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে তার সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করে নিত। এই আইনের প্যাঁচে বেশ কিছু বিচারাধীন বন্দির সম্পত্তি দখল করতে শুরু করেছিল DEA(Drug Enforcement Administration), যার মধ্যে দৃশ্যত অসঙ্গতি দেখা যায়। এইসব নিয়ে লিখছিলেন স্যান হোজে মার্কারি নিউজের সাংবাদিক গ্যারি স্টিফেন ওয়েব।
প্রথমে গররাজি হলেও অবশেষে আদালতে গ্যারি চলে গেলেন সেই অপরিচিতা হিস্পানিক মহিলার সঙ্গে। আসামী রাফাউয়েল কর্নেহোর ট্রায়াল দেখতে। আর এই ঘটনা থেকেই ক্রমে একের পর এক নতুন জালে জড়িয়ে পড়ল গ্যারি ওয়েবের আপাত স্বাভাবিক সাংবাদিক জীবন। সত্যানুসন্ধানের জেদ থেকেও উনি বেরোতে পারলেন না, আবার পারলেন না সব কিছুর সঙ্গে ভারসাম্য রেখে (অথবা আপোশ করে) জীবনকে স্বাভাবিক করে তুলতে। সেই মামলাতে উনি সাক্ষীদের মধ্যে পেয়েছিলেন অস্কার ড্যালিন্ডো ব্ল্যান্ডন-এর নাম (একজন কুখ্যাত মাদক পাচাকারী, জন্মসূত্রে নিকারাগুয়ার)। সেই অস্কারের কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেনেই তার নাম সরিয়ে নিল সরকারপক্ষের আইনজীবী। মামলা টিকল না, ছাড়া পেয়ে গেল কোরালের সেই মাদক-পাচারকারী বন্ধু রাফায়েল কর্নেহো (সেও জন্মসূত্রে নিকারাগুয়ার)। গ্যারি বুঝলেন তাকে ব্যবহার করা হল, কিন্তু অস্কারকে সরকার পক্ষের উকিল আড়াল করার চেষ্টা করছে - এটা মন থেকে সরাতে পারলেন না। এই অস্কারকে কেন্দ্র করেই শুরু হল গ্যারি ওয়েবের সত্যানুসন্ধান।
অস্কার ব্ল্যান্ডন থেকে গ্যারি এবার খোঁজ পেলেন মাদক-পাচারে অভিযুক্ত রিকি ডনেল রস-এর ('Free Way' রিকি রস)। এবং তার মামলায়, তার আইনজীবীকে ব্যবহার করেই অস্কার ব্ল্যান্ডনকে আদালতে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠিয়ে প্রকাশ করলেন এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি -
"অস্কার আর তার সঙ্গীরা নিকারাগুয়া থেকে আমেরিকাতে কোকেন আমদানি করে, কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা... আর সেই অর্থ নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করা হয় নিকারাগুয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবে নামা দক্ষিণপন্থী কনট্রা বিপ্লবীদের। আর এর সবটাই সিআইএ-র সাহায্যে করা হয়।"
নামে 'বিপ্লবী' হলেও কনট্রাদের চরমপন্থা, সিভিলিয়ানদের ওপর উপদ্রব, আর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাঞ্চাল করার কীর্তিগুলি নিকারাগুয়ার ইতিহাসে কুখ্যাতই। এককথায় - আমেরিকার টাকায় নিকারাগুয়াতে চরমপন্থীদের ইন্ধন যুগিয়ে গণতন্ত্র বাঞ্চালের একটা প্রক্রিয়া চলছে... আর এটা করা হচ্ছে কোকেন স্মাগলিং-এর টাকায়। এই ছিল অস্কারের বক্তব্যের সারমর্ম।
‘সিভিল অ্যাসেট ফোরফিচার’ থেকে কোরাল বাচা --> কোরাল বাচা থেকে অস্কার ব্ল্যান্ডন --> অস্কার ব্ল্যান্ডন থেকে রিকি রস --> অস্কার ব্ল্যান্ডনের স্বীকারোক্তি --> স্বীকারোক্তি তে কনট্রা বিপ্লব আর সিআইএর বিস্ফোরক তত্ত্ব --> নিকারাগুয়ার কারাগারে গিয়ে আর এক কুখ্যাত ড্রাগ-মাফিয়া নরউইন মেনেসেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ --> সেখান থেকে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল স্টাফ অলিভার নর্থের প্রসঙ্গে --> সেখান থেকে কেরি কমিটি রিপোর্ট... সত্যানুসন্ধানের পথে এক গভীর থেকে আরও গভীরে চলে গেলেনে গ্যারি ওয়েব। সাংবাদিক ছিলেন গ্যারি... উকিল, পুলিশ বা পেশাদার গোয়েন্দা নয়। তথ্যপ্রমাণ ধরে রাখা, সাক্ষী ধরে রাখা, শক্ত সমর্থন পাশে রেখে ঘুঁটি সাজানো - এইসব প্যাঁচ পয়জার ভালো বুঝতেন না হয়তো... শুধু যেখানে যেমন সত্য উদ্ঘাটন করলেন... সব নোট করে রাখলেন একটি আর্টিকল লিখে সত্য প্রকাশ করবেন বলে। বিশ্বাস ছিল - আমার সংবাদ মাধ্যম আর সহকর্মীরা আমার পাশে থাকবে। দেশের মানুষের কথা ভেবে করছি, তাদের সমর্থন পাব।
নিকারাগুয়াতে কনট্রা বিপ্লবকে শক্তিশালী করায় সিআইএ'র ভূমিকা এবং মাদক পাচারচক্রের যোগসাজশ নিয়ে 'Dark Alliance' সিরিজটি যখন স্যান হোজে মার্কারী নিউজে গ্যারি ওয়েব প্রকাশ করেন (১৮-২০ আগস্ট, ১৯৯৬। তিন কিস্তিতে), এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে মাদক-পাচার চক্র বা মাদকাসক্তদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এবং অন্যান্য শহরের কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে ওঠে। সরাসরি তদন্ত দাবি করা হয় সিআইএ-র বিরুদ্ধে। প্রশ্ন ওঠে - "সিআইএ দোষী কিনা, তার তদন্ত সিআইএ কেন করবে?"
ওয়াটার গেটের মতই বড় স্ক্যাম হয়ে দাবানল ছড়িয়ে যেতে পারত, কিন্তু খেলা ঘুরে যায় দ্রুত। সিআইএ-র পক্ষ থেকে দাবী করা হয় "বড় অভিযোগকে প্রমাণ করার মত বড়ো এভিডেন্স কই?" গ্যারি ওয়েবের অবস্থান, এবং 'ফাঁপা সাংবাদিকতা'কে আক্রমণ শুরু করল অন্য একাধিক প্রধান সংবাদ মাধ্যম। চাপ বাড়তে শুরু করল গ্যারি ওয়েব এবং মার্কারি নিউজের ওপর। অবশেষে অনেক টানাপোড়েনের পর মার্কারি নিউজ রীতিমত ক্ষমা চেয়ে ব্যাপারটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। গ্যারি ওয়েব এই নিয়ে আর তদন্ত করতে পারেননি। রিকি রস, অস্কার ড্যালিন্ডো ব্ল্যান্ডন এবং নরউইন মিনেস -- এই তিন জন মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি, সিআইএ'র কর্মকর্তা অথবা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের আধিকারিক কেউই মুখ খোলেনি, কিচ্ছু প্রমাণ করা যায়নি। কোটি কোটি ডলারের কোকেন বিক্রি করা অর্থ আমেরিকা থেকে করা কোথায় পাঠাত... কী হত সেই টাকা দিয়ে -- কিছুই প্রকাশ্যে এল না। কারণ হয়তো আন্দাজ করে নিতে পারে কেউ কেউ। এবং তারা সবাই বোঝে, চুপ থাকাই শ্রেয়।
অবশেষে ১৯৯৮ সালে পর পর দুটো রিপোর্ট প্রকাশিত হয় - জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট রিপোর্ট আর সিআইএর রিপোর্ট। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট বলছে - গ্যারি ওয়েবের অভিযোগ কোনোভাবেই প্রমাণিত হয় না। ব্ল্যান্ডন বা মেনেসেস যা-ই করুক, তার মানে এই নয় যে আমেরিকা ড্রাগ এপিডেমিক ওরা ঘটিয়েছে। আর তারা কন্ট্রাদের সাহায্য করত, এমন প্রমাণও আমরা পাইনি। তবে 'ইতি গজঃ'-র মত কিছু তথ্যগত এবং পদ্ধতিগত অসঙ্গতিরও উল্লেখ ছিল সেই রিপোর্টে, যার একটি বলে - অস্কার ব্ল্যান্ডনের আমেরিকার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হওয়া একেবারেই সঠিক পদ্ধতি মেনে ঘটেনি।
এর ক'মাস পরেই সিআইএ যখন তাদের তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করল... তাতেও এটাই বলল যে গ্যারির কোনো অভিযোগেরই ভিত্তি নেই। রিকি রস বা অস্কার ব্ল্যান্ডন ও তার সঙ্গীরা নিজেরা কনট্রা বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে; তবে এতে সিআইএর ভূমিকা প্রমাণ হয় না। এমনই কাকতালীয় ব্যাপার, এই রিপোর্টের খবর মিডিয়াতেই এলো না। তারা তখন ব্যস্ত ছিল ক্লিন্টন-মনিকার কেচ্ছা নিয়ে।
সেই ১৯৯৮ সালেই গ্যারি তাঁর তদন্ত, সিআইএর সঙ্গে তার কথোপকথন, বিচারবিভাগীয় তদন্ত ইত্যাদি সব কিছু নিয়ে 'Dark Alliance' বইটি প্রকাশ করেন । বইটি বেস্ট সেলার হয়। গ্যারি ওয়েবের শত্রুও বেড়ে চলে। ওয়েব সবটাকেই বলতেন মিডিয়া ম্যানিপুলেশন -
"The government side of the story is coming through the Los Angeles Times, The New York Times, The Washington Post"
"They use the giant corporate press rather than saying anything directly. If you work through friendly reporters on major newspapers, it comes off as The New York Times saying it and not a mouthpiece of the CIA."
বুঝতেই পারছেন, এমন লোকের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে।
এই দুঃসাহসী সাংবাদিকতার পরিণতি বড়ই মর্মান্তিক। গ্যারি ওয়েব একজন সত্যান্বেষী সাংবাদিক হয়ে দেশের যে 'ক্র্যাক এপিডেমিক' ক্রাইসিস এবং ওপরমহলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে একাই অভিমন্যুর মতো ঢুকে পড়েছিলেন... তার খেসারত দেওয়ার সময়ে এসে গেছিল। প্রভাবশালীদের একটা অদৃশ্য চাপ ছিল, যা বাড়তেই থাকে গ্যারির ওপর। মার্কারী নিউজ তার কাজের দপ্তরেও পরিবর্তন আনে, অফিস হয়ে যায় বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে - কুপারটিনোতে। গ্যারিকে কাজ দেওয়া হয়েছিল - মৃত ব্যক্তির স্মৃতির উদ্দেশ্যে অবিচুয়ারি লেখা। অবশেষে ১৯৯৭ সালে নভেম্বরে গ্যারি ইস্তফা দিলেন। মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে তখনো চলছে গ্যারির সমালোচনা। গ্যারির করা খবর না, গ্যারিই তখন সবার কাছে চাঁদমারি। মানসিক চাপ নিতে পারে ক্রমে অবসাদের স্বীকার হয়ে যান গ্যারি। অবসাদগ্রস্ত জীবনে একাকিত্ব কাটাতে জড়িয়ে পরেন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে... ২০০০ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় স্ত্রী স্যু ওয়েবের সঙ্গে।
সাংবাদিকের চাকরি ছাড়ার পরেও গ্যারি সত্যানুসন্ধানের কাজ ছাড়তে পারলেন না। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট লেজিসলেচারে যোগ দিয়েছিলেন ইনভেস্টিগেটর হিসেবে। ফ্রিল্যান্স তদন্ত, সাংবাদিকতা, ইত্যাদির মধ্যেই থাকতেন। ২০০৪ সালে কিছুকালের জন্য স্যাক্রামেন্টো নিউজ অ্যান্ড রিভিউ-তে আবার কাজ শুরু করেছিলেন... কিন্তু সেই বছরেরই শেষে গ্যারি ওয়েবের নিথর প্রাণহীন দেহটি তাঁর ঘরে পাওয়া যায়... ডান গালে রগের কাছাকাছি দুটি বুলেটের ক্ষত। ১০ই ডিসেম্বর, ২০০৪।
'মাথায় দুটো বুলেটের ক্ষত' থাকা সত্ত্বেও সরকারি তদন্তের রিপোর্টে বলা হয় আত্মহত্যা। আর্থিক এবং মানসিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন গ্যারি। আত্মহত্যার মোটিভ জাস্টিফাই করার মতো অনেক প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা ছিল। ওঁর পরিবার এই নিয়ে কথা বাড়ায়নি। আসলে ডার্ক অ্যালায়ান্স অধ্যায়ের কালো ছায়া হয়তো কোনোদিনই গ্যারির পিছু ছাড়েনি, গ্যারি নিজেও ভুলতে পারেননি।
Los Angeles Times এর সাংবাদিক নামে একটি আর্টিকল লিখেছিলেন ওয়েবের মৃত্যুর কয়েক মাস পর - WRITTEN IN PAIN ।
তার শুরি করা হয়েছে এই তথ্যগুলি দিয়ে -
"Gary Webb planned his death with polite precision.
He typed out four lengthy suicide notes and put them in the mail to family members. He placed his prearranged cremation certificate and Social Security card on the kitchen counter of his suburban Sacramento home. He put the keys to his cars and motorcycles in an envelope addressed to his oldest son.
All his belongings -- among them numerous awards from his years as an investigative reporter -- were packed and neatly stacked in boxes in a corner of his living room. He left a note on the door. “Please do not enter. Call 911 for assistance. Thank you.”
'আন্ডার আনইউজুয়াল সার্কামস্ট্যান্সেস' চলে গেলেন গ্যারি ওয়েব। থেমে গেল এক নির্ভীক কলম। থেকে গেল 'ডার্ক অ্যালায়ান্স' আর তাঁর সাংবাদিকতার লেগাসি।
অনেকে বলেন - হত্যা-ষড়যন্ত্র হ'লে ১৯৯৮-১৯৯৯ এই কিছু একটা ঘটে যেতে পারত, পাঁচ বছর পর কেন? গ্যারিকে তো এমনিই ভুলে গেছিল সবাই!
সত্যি কি তাই? গ্যারি ওয়েব আর তাঁর বিস্ফোরণের ধোঁয়া কি এখনও ভুলতে পেরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?
মৃত্যুর পরেও তাঁর নাম ফিরে ফিরে এলো প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলির পাতায়। লেখা হ'ল আর্টিকল অথবা রিপোর্ট। তৈরি হল তথ্যচিত্র, সিনেমা। বিতর্ক চলতে থাকল... মৃত্যুর দশ-পনেরো বছর পরেও সেইসব প্রধান সংবাদমাধ্যমের কেউ না কেউ লিখে ফেলে - গ্যারি একেবারেই দায়িত্ববান সাংবাধিকতার পরিচয় দেননি।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম The Nation ২০১৪ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদন বলছে - "‘The New York Times’ Wants Gary Webb to Stay Dead -- Many journalists went after Webb, destroying his reputation and driving him out of the profession and into a suicidal depression. Now they’re at it again."
সিআইএ, ডিইএ এবং সরকার সম্বন্ধে ঠিক কী এমন অভিযোগ তুলে ফেলেছিলেন গ্যারি ওয়েব, যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়া... যার জন্য তাঁর জীবনটাই বেলাইন হয়ে গেল?
'Dark Alliance' সম্বন্ধে একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন বিস্তারিত... পক্ষে-বিপক্ষে এবং গ্যারি যা লিখেছিলেন... সবই আন্তর্জালে আছে, এবং প্রকাশিত বইটিতে। তথ্যচিত্র এবং সিনেমাও পেয়ে যাবেন। এমনকি দুটি বুলেট ক্ষত সহ মৃত গ্যারি ওয়েবের ছবিটিও পেয়ে যাবেন একটু খুঁজলে... একটু ভাববেন, কেউ নিজেকে কীভাবে এবং কেন দু'বার ঐ দুটো স্থানে গুলি করে?
Powered by Froala Editor