লকডাউনের প্রথম দিন থেকে বেশ কিছু খবর আমাদের সামনে উঠে আসছিল। সেখানে যেমন ছিল করোনার খবর, তেমনই ছিল বেকারত্ব। বিগত কয়েক মাসে গোটা ভারতেই বেকারত্বের গ্রাফ বাড়ছিল। জুন মাসে লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার পর আশা করা হয়েছিল অচলাবস্থা কিছুটা হয়তো কাটবে। সেই ভাবনা যে অমূলক নয়, সেটাই উঠে এল সাম্প্রতিক রিপোর্টে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউনের আগের মাসগুলোর তুলনায় জুনে বেকারত্বের গ্রাফ বেশ কিছুটা নিম্নগামী।
লকডাউন শুরু হবার পর সমস্ত কলকারখানা, অফিস বন্ধ হয়ে যায়। শিল্পের প্রায় সমস্ত বিভাগে একটা ধস নামে। বাড়ি থেকে অনেকে কাজ করতে শুরু করলেও, সবার পক্ষে তেমনটা করা সম্ভব ছিল না। বাজারে চাহিদা-জোগানেরও একটা ব্যাপক হেরফের শুরু হয়। আর এই সমস্ত আর্থিক সমস্যার ধাক্কা এসে লাগে মানুষের চাকরিতে। বাড়তে থাকে বেকারত্বের হার। জাতীয় হিসেব অনুযায়ী, শুধু এপ্রিল মাসেই কাজ হারায় প্রায় ১২ কোটি মানুষ! মে মাসেও সেই ধারা বজায় ছিল। একেই আর্থিক মন্দা, তার ওপর এমন পরিস্থিতিতে কী করে দিশা খুঁজে পাবেন সবাই, সেটাই ছিল মূল চিন্তার বিষয়।
জুন মাসের রিপোর্ট সেই চিন্তায় খানিক স্বস্তি দিল। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)-এর তরফ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম তিন সপ্তাহেই বেকারত্বের হার কমেছে। মে মাসে যেখানে এই হার ছিল ২৭%, জুনের প্রথম সপ্তাহে সেটা এসে দাঁড়ায় ১৭.৫%-এ। আর বর্তমানে তা আরও কমে হয়েছে ৮.৫%। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গ্রামাঞ্চলে এই হিসেব যথেষ্ট প্রশংসনীয়। সেখানে বেকারত্বের হার এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৩%-এ; যা কিনা লকডাউনের আগের সময়ের থেকেও কম। নতুন করে অফিস খুলেছে, অর্থনীতির চাকাও আবার ঘুরতে শুরু করেছে। এর ফলেই এমন অবস্থা। নিঃসন্দেহে এমন পরিসংখ্যান প্রশাসনকে স্বস্তি দেবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বেকারত্ব বাড়ছে আমেরিকায়, ২১ দিনে চাকরি খুইয়েছেন ১৬.৮ মিলিয়ন মানুষ