মনসামঙ্গলের জন্ম পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। এই মঙ্গলকোট থেকেই সারা বাংলাতে মনসার পূজা ছড়িয়ে পড়ে। আজও বর্ধমানের পাশে বুদবুদে গেলে দেখা যাবে চাঁদ সওদাগরের গড়। মৃত লখিন্দরের ভেলা নিয়ে বেহুলা দামোদর হয়ে, আজকের বেহুলা নদী দিয়ে ভাগীরথী দিয়ে ভেসে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে।
আজও উত্তর রাঢ়ের প্রতিটি গ্রামের মনসা পূজার দিন বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনি ও মা মনসার প্রতিষ্ঠার গল্পকে ঝাঁপান গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। মূলত সাপ ধরাতে দক্ষ বেদেরা বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ (চন্দ্রবোড়া, কালনাগিনী, শঙ্খচূড়, খড়িশ, গোখরো, ডোমনা চিতি) নিয়ে সারাদিন গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ঝাঁপান গান শোনান আর তার পুরস্কারস্বরূপ গ্রামের মানুষ তাদের ঝুলিতে চাল, ডাল, আলু, টাকা, সরষের তেল আর সিঁদুর তুলে দেয়।
এই স্বল্প পারিশ্রমিকেই তারা খুশি। এভাবেই বছরের পর বছর ঝাঁপান গানের ধারা অব্যাহত…