২৫ বছর বয়সে হাতে ক্যামেরা তুলে নিয়েছিলেন। সেই থেকে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ ১০০ পেরিয়েও ক্যামেরা নামিয়ে রাখেননি জাপানের সুনেকো সাশামতো। এই বয়সে এসেও সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বার্ধক্য, অসুস্থতা— এই সবকিছু যে প্যাশনের কাছে তুচ্ছ!
১৯১৪ সালে জন্ম নেওয়া সুনেকো জাপানের প্রথম মহিলা চিত্র সাংবাদিক ছিলেন। ২৫ বছরেই হাতে তুলে নেন ক্যামেরা। একেবারে সামনে থেকে দেখেছেন জাপানের বিবর্তন। বিশ্বযুদ্ধের সময়ের পরিস্থিতি থেকে শুরু করে এখনকার অত্যাধুনিক জাপান— সমস্তটাই চিনিয়েছে তাঁর ক্যামেরা। তুলে ধরেছে সেই সেই পরিবর্তন। শুধু কি জাপান? নিজের জীবদ্দশায় ক্যামেরার বিবর্তনও তো দেখে চলেছেন তিনি। কিন্তু ১০৫ বছর বয়সে এসেও কাজ থামাননি সুনেকো। তাঁর বাঁ হাত আর দুটি পা ভেঙে গিয়েছিল একটি দুর্ঘটনায়। তা সত্ত্বেও, সেই অবস্থাতেই তিনি প্রদর্শনী আয়োজন করেছেন নিয়মিত। নিজের একটি বইও প্রকাশ করেছেন। এখনও থামেনি তাঁর কাজ। থামতে যে জানেন না তিনি!
একজন মানুষের কাছে ‘প্যাশন’ শব্দটি যে কতটা গভীর, সুনেকো সাশামতোদের জীবনই সেটা বুঝিয়ে দেয়। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের শর্তে বেঁচেছেন, কাজ করেছেন; এখনও করে যাচ্ছেন। সুনেকো নিজেই সবাইকে বলেন জীবনকে নিজের মতো করে উপভোগ করার কথা। সেই কাজই তাঁকে, এবং তাঁর মতো মানুষদের বাঁচিয়ে রেখেছে। আর আমরাও সাক্ষী থাকতে পারছি সেই ইতিহাসের।