মহাকাশে পৌঁছবে কৃত্রিম উপগ্রহ। শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। স্যাটেলাইট তৈরির কাঁচামালের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে একটি বাণিজ্যিক সংস্থাকে। এতদূর অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সেই বাণিজ্যিক সংস্থাটির কাজ যে বনজ সম্পদ রপ্তানি করা। এখানেই অবাক হতে হয়। জাপানের কায়োটো ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই মহাকাশ গবেষণা দলটি স্যাটেলাইট তৈরির জন্য কিনেছে কাঠ!
হ্যাঁ, সম্প্রতি মহাকাশ বিজ্ঞানী তাকাও দইয়ের উদ্যোগে এমনই অভিনব পরীক্ষা শুরু হল। যদিও এই পরীক্ষার সাফল্যের বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। সুমিতোমো ফরেস্ট্রির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঠিক কী ধরণের কাঠ মহাকাশে পাঠানোর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। তবে এই উদ্যোগের পিছনে সময়ের দাবিকেই বড়ো করে দেখছেন বিজ্ঞানী দই। তাঁর কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরে তা সফলভাবে মহাকাশে পৌঁছচ্ছে না। পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলেই সেটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এইসময় বাতাসে বিপুল পরিমাণ অ্যালুমিনার গুঁড়ো ছড়িয়ে পড়ে। আর তার প্রভাব এসে পড়ে বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরেও। এই দূষণ রোধ করতেই মহাকাশ গবেষণায় প্রাকৃতিক উপাদানের উপর জোর দেওয়ার সময় এসেছে।
মহাকাশের বর্জ্য নিয়ে অবশ্য বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। শুধুই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল নয়, অভিকর্ষ ক্ষেত্রের বাইরের পরিবেশও দূষিত হয়ে চলেছে ক্রমাগত। আর এর মধ্যে নানা বেসরকারি সংস্থার মহাকাশ অভিযান আরও বেশি আশঙ্কার সৃষ্টি করছে। বিজ্ঞানী দই-এর পরিকল্পনা সফল হলে সেই আশঙ্কা অনেকটাই কমবে। আপাতত সবটাই সময়ের অপেক্ষা।
Powered by Froala Editor