করোনা পরিস্থিতিতে আমেরিকার বুকে গরে উঠছে একটি স্টার্ট-আপ উদ্যোগ। হিউস্টন ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষকের উদ্যোগে তৈরি হতে চলেছে এমন একটি মাস্ক যার মধ্যে থাকা তরিৎচুম্বকীয় শক্তির সংস্পর্শে এলেই ভাইরাস মরে যাবে। আমেরিকার বুকে এই মাস্কের ব্যবসা শুরু হলেও তার জন্ম কিন্তু খোদ কলকাতার বুকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সট্রুমেনটেশন বিভাগের গবেষকরা তৈরি করেছেন এই মুখাবরণ। কিন্তু তার বাণিজ্যিক প্রয়োগের সুবিধা পেল না আমাদের দেশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে অবশ্য প্রথম থেকেই আবেদন জানানো হয়েছিল দেশের বণিক মহলের কাছে। প্রথমে রাজ্যের এবং পরে দেশের প্রতিটি বণিকসভার কাছে আবেদন জানানো হয়, তাঁরা যেন এই মাস্কটির সম্বন্ধে ভাবনাচিন্তা করেন। কিন্তু বহু অনুরোধ সত্ত্বেও সারা মেলেনি কারোর থেকেই। ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে টেকনোলজির পেটেন্ট চেয়ে আবেদন জানানো হয়। ফলে বাধ্য হয়েই আমেরিকায় স্বত্ব বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি।
আর কিছুদিনের মধ্যেই হিউস্টন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মৌ সাক্ষরিত হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু দেশের বণিকসভাগুলির এমন আচরণে ক্ষুব্ধ উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সম্প্রতি একটি ওয়েবিনারে তিনি বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের কারিগরি শিল্পে দক্ষ করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে ব্যবসায়ীদেরও। ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, শিক্ষা ও শিল্পের সমন্বয় ঘটাতে হবে। আর এর জন্য ব্যবসায়ীদের নিয়েই একটি রূপরেখা তৈরি করতে হবে। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নানাভাবে করোনা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। পড়ুয়া-শিক্ষক মিলিতভাবে মাস্ক এবং হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। আবার কিছুদিন আগে এখানেই আবিষ্কৃত হয় এক ধরনের ডিটেকশন ক্যামেরা। যার সাহায্যে সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তিদের সহজে শনাক্ত করা যাবে। কিন্তু এইসমস্ত আবিষ্কার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রয়োজন ব্যবসায়িক উদ্যোগ। আর তাতেই কি মার খাবে দেশের ভবিষ্যৎ?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
চাঁদে পাঠানো হবে রোভার, ইসরোর গবেষণায় জড়িয়ে যাদবপুরের দুই অধ্যাপকও