রাজ্যজুড়ে কড়া লকডাউন। বন্ধ গণপরিবহন ব্যবস্থা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কর্মক্ষেত্রে গিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির কর্মীদের। অথচ, তথ্য প্রযুক্তিকে জরুরি পরিষেবার আওতায় না আনার কারণে রেল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরা সুযোগ পাচ্ছেন না সরকারের বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থার। ফলত, যাতায়াতে হয়রানির শিকার হওয়া এখন নিত্যদিন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে। এবার এই ক্ষেত্রটিকেও জরুরি পরিষেবার আওতায় আনার আবেদন নিয়েই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে খোলা চিঠি দিলেন ন্যাসকম, দ্য বেঙ্গল চেম্বার সংস্থার কর্মকর্তারা।
মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যেই আইটি ও আইটিইএস— এই দুটি ক্ষেত্রকেই রাখা হয়েছে জরুরি পরিষেবার মধ্যে। এমনকি গত বছরে লকডাউনের সময় তথ্য প্রযুক্তিকে জরুরি পরিষেবার ছাড়পত্র দিয়েছিল বাংলা। তবে চলতি লকডাউনে কেন জরুরি পরিষেবা থেকে ব্রাত্য থেকে গেল তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, তা নিয়েই থেকে যাচ্ছে সংশয়।
“গতবার লকডাউন তো বটেই, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও ৮০-৯০ শতাংশ তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরাই কাজ করেছেন বাড়িতে থেকে। কিন্তু বাকি ১০-২০ শতাংশ কর্মীদের অফিসে যেতেই হচ্ছে। কারণ, সার্ভার-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রিত হয় অফিস থেকে। আর সেই প্রযুক্তি কর্মীদের বাড়িতে স্থানান্তরিত করা সম্ভবও নয়। ন্যূনতম সংখ্যক কর্মীরা অফিসে থেকে বিষয়টি রক্ষণাবেক্ষণ না করলে ভেঙে পড়বে গোটা ব্যবস্থাটাই”, জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তথ্যপ্রযুক্তি আধিকারিক।
রাজ্য তো বটেই, তথ্যপ্রযুক্তির পরিকাঠামো ভেঙে পড়লে প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক স্তরেও। কোভিডের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য, কৃষি, ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস-সহ একাধিক জরুরি পরিষেবার সঙ্গেই পরোক্ষভাবে জুড়ে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। বহু বেসরকারি হাসপাতালকে টেলি-সাপোর্ট দিচ্ছেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকেও সাপোর্ট করে এই বৈশ্বিক সংস্থাগুলি। বড়োসড় সমস্যার সম্মুখীন হবে তারাও। তাই বিষয়টিকে যাতে গুরুত্ব দিয়েই জরুরি পরিষেবার আওতায় আনার আর্জি জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। এখন দেখার, কত দ্রুত পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার…
আরও পড়ুন
আগাম তথ্য পেয়েও যুবতী-হত্যা রুখতে ব্যর্থ প্রশাসন, ফুঁসছে কুয়েত
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কোভিড-মোকাবিলায় ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার, যোগাযোগ বুনছে বাংলার তরুণ প্রজন্ম