আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি, দাবি ইজরায়েলের

করোনা ভাইরাসের দাপট সামাল দিতে সারা বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা। তবে এই ভয়ঙ্কর মহামারীর সমাধান আসতে চলেছে দ্রুত। ভাইরাসের মোকাবিলা করতে পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হল অ্যান্টিবডি। সম্প্রতি এ-কথা জানালেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট।

ইজরায়েলের ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল রিসার্চের এই গবেষণার সাফল্য দাবি করেছেন বেনেট। দেশে সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই, ওই সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর আদেশে শুরু করেছিল গবেষণার কাজ। গত ফ্রেব্রুয়ারি মাস থেকেই রাতদিন এক করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান দেশের ৫০ জন সেরা অণুজীববিজ্ঞানী। ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি তাঁদের লক্ষ্য ছিল কৃত্রিমভাবে অ্যান্টিবডির উৎপাদন।

অনেকটা প্লাজমা থেরাপির মতোই কাজ করবে এই ফর্মুলা। আক্রান্তের শরীরে এই অ্যান্টিবডির প্রবেশ করালে ভাইরাসকে প্রতিহত করবে এটি। তবে প্লাজমা থেকে পাওয়া অ্যান্টিবডির থেকে এককোষী এই প্রোটিন বহুগুণ শক্তিশালী, দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিবডির প্রয়োগে ইতিবাচক ফলাফলই উঠে এসেছে নমুনা পরীক্ষায়।

আপাতত পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে ওই সংস্থা। খুব শীঘ্রই শুরু হবে সারা পৃথিবীর জন্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের কাজ। এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে কথাও হয়েছে বেনেটের। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কাজও বেশ খানিকটা এগিয়েছে বলেই জানায় ওই সংস্থা। অন্যান্য প্রাণীর উপর প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে এখন।

করোনার মোকাবিলা করতে পৃথিবীর নানান দেশে চলছে গবেষণা। ওষুধ থেকে ভ্যাকসিন সমস্ত ক্ষেত্রেই নতুন নানান আবিষ্কারের ট্রায়াল চললেও, পুরোপুরি ভরসা করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের আবিষ্কার আশার আলো দেখাচ্ছে স্বাস্থ্যমহলকে। করোনা প্রতিরোধক তৈরিতে ইজরায়েলের তৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে এই অ্যান্টিবডি সত্যিই কতটা কার্যকরী হবে, তা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে…

Latest News See More