প্রাণীদের মধ্যে সংকট ডেকে আনছে সুরক্ষা আইনই, উত্তাল আন্তর্জাতিক সমাবেশ

আমাদের প্রকৃতি থেকে রোজ একটা একটা করে প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তির মুখ থেকে ফিরে আসার সংখ্যাটা নেহাতই কম। তবে এর মধ্যেই গড়ে উঠছে সচেতনতা। বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে নানা ধরনের আইনও। কিন্তু আইন করেই কি প্রকৃতিকে বাঁচানো যায়? এই প্রশ্ন তুলছেন খোদ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন ফর অ্যানিম্যাল কনজারভেসনের সভা উত্তাল হয়ে উঠল এই বিতর্কে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের নানা সুপারিশ মেনেই এতদিন নানা দেশে আইন তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য পার্থক্য আছে। তবে এবার এই আইন তৈরির প্রক্রিয়াটিকেই প্রশ্ন করছেন একদল বিশেষজ্ঞ। আর তাঁদের নেতৃত্বে আছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ স্যাস-রোলফেস, প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ ব্রেট শেফারের মতো মানুষ।

যুক্তিটা অত্যন্ত সরল। প্রকৃতি রক্ষার বিষয়ে আইন তৈরি হলেই প্রথমেই তার লক্ষ্য হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষরা। কিন্তু তাঁরা প্রকৃতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করছেন। তাঁরা গাছ কাটার পরেও জঙ্গলকে বাঁচিয়ে রাখতে জানেন। কিন্তু অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ চাপলেও তাঁদের গতিবিধি অভাব থাকে। স্যাস-রোলফেস হিসাব করে দেখিয়েছেন ৭০-এর দশকে সারা পৃথিবীতে গণ্ডার নিধনের বিরুদ্ধে আইন আনার সঙ্গে সঙ্গে কালো বাজারে গণ্ডারের সিং-এর দাম কী পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। আর এই অধিক মুনাফার লোভ চোরাশিকারেও সাহায্য করছে।

তবে সবকিছুর পরেও প্রকৃতিকে যে বাঁচাতে হবে, এই প্রশ্নে একমত সকলেই। আর তার জন্য সচেতনতার উপরেই জোর দিচ্ছেন সকলে।

Powered by Froala Editor