তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু চারিদিকের হাহাকার দেখে স্থির থাকতে পারছেন না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো তাঁর দেশেও যে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। অসুস্থ হয়ে পড়ছে লোকজন। এই অবস্থায় যারা ডাক্তার, তাঁদের ওপর অত্যন্ত চাপ যাচ্ছে। অন্যদিকে আক্রান্তও বাড়ছে। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ঠিক করলেন, তিনি নিজেই মাঠে নামবেন। এক সময় নিজে ডাক্তার ছিলেন। এবার সেই ভূমিকায় আবারও অবতীর্ণ হবেন। যতটা পারা যায়, সাহায্য করবেন। এমনই অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাডকার।
করোনায় আক্রান্ত আয়ারল্যান্ডও। গোটা ইউরোপের মতো তাদের অবস্থাও ভালো নয়। ছড়িয়ে পড়ছে রোগ। যাতে আর সমস্যা না বাড়ে, সেইজন্য সরকারের তরফ থেকে চেষ্টা চলছে। কিন্তু রোগী যে বেড়েই চলেছে। এদিকে ডাক্তাররাও প্রাণপণে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরাও চাপে। এমনই পরিস্থিতি যখন, তখনই আবার চিকিৎসা জগতে ফেরার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী লিও। যাতে একটু হলেও বাকিদের উপকার হয়।
রাজনীতিতে আসার আগে লিও ভারাডকার রীতিমতো ডাক্তারি পড়তেন। ডাবলিনের সেন্ট জেমস হাসপাতাল ও কনোলি হাসপাতালে তিনি জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে সাত বছর কাজও করেছেন। ২০১৩ সালে সেসব ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে ঢোকেন। তখন ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশনও মুছে যায়। করোনার এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে আবারও নিজেকে রেজিস্ট্রি করালেন ডাক্তার হিসেবে। যারা সামনে থেকে লড়ছেন, তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে চান লিও। যতটুকু শিখেছেন, সবটুকু প্রয়োগ করবেন তিনি, এমনই কথা দিয়েছেন। তাঁর এমন ভূমিকায় সবাই আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রীর গদি ছেড়ে একেবারে সামনে থেকে লড়বেন, এই উদ্যোগকে প্রাণভরে স্বাগত জানাচ্ছে আয়ারল্যান্ড-সহ সমগ্র বিশ্ব।