গত জুন মাসের ৫ তারিখ। বেঙ্গালুরু ইন্টারনেশনাল এক্সিজিবিশন সেন্টারে গড়ে উঠেছিল ভারতের বৃহত্তম কোভিড-১৯ সেন্টার। বাড়তে থাকা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তখন এই শহরে দরকার হয়ে পড়েছিল বিপুল পরিমাণ শয্যার। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই গড়ে উঠেছিল ১০ হাজার শয্যার এই কোভিড সেন্টার। সম্প্রতি সেই সেন্টারই বন্ধ হতে চলেছে জানাল বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার ওপর ভিত্তি করেই আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হবে এই কোভিড-১৯ সেন্টার। কিন্তু দিনে যখন ৯০ হাজারের সংক্রমণ দেশজুড়ে, তখন এমন সিদ্ধান্ত রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার মতোই আপাতদৃষ্টিতে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, গত কয়েকদিন ধরেই ফাঁকা পড়ে আছে এই সেন্টারের শয্যাগুলো। রোগীর অভাবেই।
কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং র্যা পিড টেস্টিংয়ের মাধ্যমে যে অনন্য নজির গড়েছে দক্ষিণের এই শহর, তা আরও একবার স্পষ্ট উঠে এল এই বাস্তব ঘটনা থেকেই। বেশ কিছুদিন ধরেই বেঙ্গালুরুর আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেকটাই। পাশাপাশি উপসর্গহীন এবং কম উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদেরও হোম আইসোলেশনের কারণে হাসপাতালের চাহিদাও কমেছে অস্বাভাবিকভাবে। যদিও সামগ্রিকভাবে কর্নাটকে এখনও অব্যহত করোনাভাইরাসের প্রকোপ।
এর আগেও ধারাভিতে একই রকম ঘটনার সাক্ষী থেকে ছিল প্রশাসন। বেঙ্গালুরুর কোভিড মডেলে আরও একবার প্রতিফলিত হল সেই সাফল্য। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই সেন্টারে ব্যবস্থা করা বিছানা, খাট, ফ্যান, ডাস্টবিন এবং অন্যান্য জরুরি চিকিৎসার সামগ্রী দান করা হবে সরকারি হাসপাতালগুলিকে এবং সরকারি বিভিন্ন হস্টেলে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট এবং হর্টিকালচার ইউনিভার্সিটিতে ২৫০০টি শয্যা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার হস্টেলে এবং জিকেভিকে-তে ১০০০টি করে শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। বাকি বরাদ্দ হবে অন্যান্য হাসপাতালের জন্য।
আরও পড়ুন
দুর্গাপুজো হোক ডিসেম্বরে, করোনা-পরিস্থিতিতে প্রস্তাব নেট নাগরিকদের একাংশের
করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্করতম হটস্পট এখন ভারত। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও বেঙ্গালুরুর এই সাফল্য নতুন করে আশা দেখাচ্ছে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ালে যে এই যুদ্ধে ইতিবাচক ফল মিলবে, তাই এখন শেখাচ্ছে বেঙ্গালুরু...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আড়াই মিনিটেই শনাক্ত করা যাবে করোনা, চমক বাঙালি বিজ্ঞানীদের