প্রতি মুহূর্তে কমছে অরণ্যের পরিমাণ। হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। ভারতেও পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। কিন্তু ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি? সম্প্রতি ইন্টারন্যাশানাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে সেই ছবি। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৪টি জীববৈচিত্র্য তথা বায়ো-ডাইভারসিটি হটস্পটের ৯০ শতাংশ অঞ্চল ধ্বংস হয়েছে গত ১০ বছরে। শুধু তাই নয়, দেশ থেকে মুছে গিয়েছে ২৫টি উদ্ভিদ প্রজাতি।
৬ জুন আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসের দিন প্রকাশিত হয়েছে আইইউসিএন-এর বার্ষিক রিপোর্ট। আর তাতেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩৬টি অঞ্চলকে বায়ো-ডাইভারসিটি হটস্পট হিসাবে গণ্য করা হয়। তার মধ্যে ৪টি অঞ্চল আছে ভারতের মধ্যেই। কিন্তু গত এক বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চলগুলিই। বিশেষ করে ইন্দো-বার্মা অঞ্চলের ৯৫ শতাংশ এলাকাই উদ্ভিদশূন্য হয়ে গিয়েছে। ১০ বছর আগে যেখানে এই অঞ্চলের ২৩.৭৩ লক্ষ হেক্টর বনভূমি ভারতের সীমান্তে ছিল, এবছর তার পরিমাণ কমে এসেছে ১.৮৭ লক্ষ হেক্টরে।
ইন্দো-বার্মা এলাকা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হিমালয়, পশ্চিমঘাট এবং নিকোবর অঞ্চলও। ২৫টি উদ্ভিদ প্রজাতির পাশাপাশি বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে গিয়েছে বহু প্রাণী। ভারতীয় প্রজাতিগুলির মধ্যে ১২১২টি প্রাণীকে বিপন্ন হিসাবে চিহ্নিত করেছে আইইউসিএন। আর এই সংকটের পিছনে অন্যতম বড়ো কারণ হিসাবে কাজ করেছে দাবানল। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে ভারতে প্রায় ১.৪৭ লক্ষ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। তবে এগুলিকেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে নারাজ আইইউসিএন। বরং মানুষের কর্মকাণ্ডই ক্রমশ বিপন্ন করে তুলেছে প্রকৃতিকে। আর এই বিষয়ে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে অবিলম্বে। নাহলে আসন্ন বিপদের হার থেকে রেহাই পাবে না মানুষও।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পরিবেশ সংরক্ষণে ৫০০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিউজিল্যান্ডের