ভাঁড়ার যে শূন্য, তা জানা গিয়েছিল আগেই। কর্মীদের বেতন দিতেই কালঘাম ছুটে গিয়েছিল রেলের। তার কারণে কিছুদিন আগেই অর্থমন্ত্রকের কাছে হাত পাততে হয়েছিল রেলমন্ত্রীকে। বন্ধ হয়েছিল নতুন কর্মীনিয়োগও। কিন্তু তাতেও হাল ফেরেনি কোষাগারের। এবার সেই ঘাটতি মেটাতে কোপ পড়ল কর্মরতদের ওপর। রেলে শুরু হল বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাবসর।
জানানো হয়েছে যাঁদের বয়স ৫৫ অথবা যাঁরা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ভারতীয় রেলে, তাঁদের স্বেচ্ছায় অবসর নিতে হবে। তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি। চলছে বাছাইপর্ব। সেইমত রেলের বিভিন্ন বিভাগে তৈরি করা হচ্ছে তালিকাও। পাশাপাশি যাঁরা কর্মজীবনে অনিয়মিত কিংবা নোটিস ছাড়াই ছুটি নিয়েছেন, তাঁদের ওপরেও ঝুলছে খাঁড়া। কর্ম-দক্ষতার কথাও বিবেচনা করা হবে কর্মীদের।
রেলের এই ঘোষণার পর একরকম অনিশ্চয়তার মধ্যেই দিন কাটছে রেলকর্মীদের। প্রতিবাদে নেমেছে রেলের কর্মী-সংগঠন। পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে এই তালিকা। তাতে উল্লেখিত হয়েছে ৩৭২ জনের নাম। তবে এই তালিকা ঘিরেও শুরু হয়েছে জল্পনা। কর্মী-সংগঠনের দাবি গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ৫৫ বছর সম্পূর্ণ হওয়া কর্মীদের সংখ্যা এর থেকে অনেকটাই বেশি। ফলে এই তালিকা তৈরির পিছনেও রয়েছে চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। পূর্ব রেলকে বিষয়টির পর্যালোচনা করার জন্য একপ্রকার ‘সাবধান’ করেছে রেলকর্মী সংগঠন। উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে তীব্র হবে বিক্ষোভের ঝাঁঝ, জানিয়েছেন সংগঠনের সম্পাদক। তবে এখনও অবধি নিরুত্তর রেল কর্তৃপক্ষ।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
হারিয়েছে বাস্তব অস্তিত্ব, একমাত্র ছবিতেই আজও জীবন্ত বাংলার ‘বড়ো দুখের রেল’