দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে এবার। আগামী পরশু অর্থাৎ ১২ই মে থেকে চালু হচ্ছে দূরপাল্লার রেল পরিষেবা। তবে একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে না ট্রেন চলাচল। প্রথম দফায় সীমিতভাবে দিল্লি থেকে ১৫টি শহরে চলাচল করবে প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এই পরিকল্পনা কার্যকরী হলে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যা। তবে এখনই চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেনগুলি। এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
গতকাল সন্ধ্যায় রেল মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় এই সংবাদ। ট্যুইট করা হয় ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আজ, সোমবার বিকাল ৪টে থেকেই বুক করা যাবে এই ট্রেনের টিকিট। তবে একমাত্র অনলাইনেই আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে টিকিট। বন্ধ থাকবে স্টেশনের কাউন্টারগুলি।
সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থের কথা মাথায় রেখেই যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে রেলমন্ত্রক। টিকিট থাকলেও মাস্ক না থাকার কারণে উঠতে নাও দেওয়া হতে পারে যাত্রীদের। সেই সঙ্গে ট্রেনে ওঠার আগে যাত্রীদের জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের।
১৫ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেনের সময়তালিকাও প্রকাশিত হবে শীঘ্রই। টিকিটের ভাড়াও অপরিবর্তিত থাকছে এই বিশেষ ট্রেনের। এমনটাই জানায় রেলমন্ত্রক। যাত্রীবাহী এই বিশেষ ট্রেনগুলির গন্তব্য হবে হাওড়া, মুম্বাই, আমদাবাদ, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাডগাঁও এবং জম্মু-তাওয়াই।
গত ২৩শে মার্চ জনতা কার্ফিউয়ের পরের দিন থেকেই বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। পণ্যবাহী ট্রেন ও শ্রমিকদের জন্য বিশেষ রেল চললেও সাধারণের জন্য বন্ধ ছিল পরিষেবা। এবার তৃতীয় দফা লকডাউন চলাকালীনই ১২ই মে থেকে চালু হচ্ছে সাধারণের জন্য পরিষেবা। যা রেল কর্তৃপক্ষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।