নাকডাকা, বা নাসিকাগর্জন; যে শব্দই ব্যবহার করা হোক না কেন, মেজাজ বেশ লঘু হয়ে পড়ে। শিল্পে-সাহিত্যে এমনকি আমাদের ব্যবহারিক জীবনেও আমরা নাকডাকা নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেই অভ্যস্ত। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে একদমই মশকরা করতে রাজি নন চিকিৎসকরা। আর তার কারণ, আসলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থেকেই শুরু হয় নাক ডাকা। তবে এবার আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ অখিল ত্রিপাঠীর হাত ধরে সেই সমস্যার নতুন সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া গেল।
সম্প্রতি আমেরিকার এফডিএ কর্তৃক স্বীকৃতি পেল নতুন যন্ত্র এক্স-সাইট-ওএসএ। বছরখানেক আগেই অখিল ত্রিপাঠীর সংস্থা সিগনিফায়ার মেডিক্যাল টেকনোলজিস এই যন্ত্রের অনুমোদন চেয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ শেষ হতে বেশ সময় লেগে যায়। সম্প্রতি এফডিএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই যন্ত্র সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এই যন্ত্রের সঙ্গে কিন্তু নাকের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং জিভের মধ্যে চারটি তরিৎদ্বার কিছুক্ষণ রেখে দিলেই কাজ শেষ।
আসলে নাক ডাকার আসল কারণ শ্বাসনালিতে পেশির ওঠানামার ফলে তৈরি হওয়া অবরোধ। আর এক্স-সাইট-ওএসএ যন্ত্র জিভের মধ্যে এমন ধরণের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ তৈরি করে যে শ্বাসনালির পেশি শিথিল হয়ে পড়ে। তবে বেশি ব্যবহার করলে বিপরীত ফলও হতে পারে। সিগনিফায়ার মেডিক্যাল টেকনোলজিসের গবেষকরা বলছেন, প্রথম এক সপ্তাহ দিনে কুড়ি মিনিট এবং তারপর প্রতি সপ্তাহে একদিন কুড়ি মিনিট যন্ত্রটি জিভের উপর রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে। নাক ডাকা বন্ধ করার যন্ত্র যদিও নতুন নয়। কিন্তু সেই সব যন্ত্রই ব্যবহার করতে হয় রাতে শোয়ার সময়। ফলে বেশ অস্বস্তিজনক তাদের ব্যবহার। নতুন এই যন্ত্র যে সেই জায়গায় বেশ অভিনব, সেটা বলাই বাহুল্য।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
‘জম্বি ট্রি’-র রহস্যভেদ, গাছেদের সমাজব্যবস্থার দিকে ইঙ্গিত মার্কিন বিজ্ঞানীর