আবার একটা ডিসেম্বর। প্রকাশিত হয়ে গেল বছরের শেষ ‘টাইম’ পত্রিকা। বছরের এই শেষ সংখ্যার প্রচ্ছদের দিকে তাকিয়ে থাকেন সবাই। একসময় এই প্রচ্ছদের নামই ছিল, ‘ম্যান অফ দ্য ইয়ার’। পরে অবশ্য লিঙ্গসাম্য ফেরাতে ‘ওম্যান অফ দ্য ইয়ার’ও প্রকাশিত হয়। এমনকি এই প্রচ্ছদে প্রকাশিত হয়েছে যন্ত্রের নামও। ঠিক যেমন ১৯৮২ সালে ‘পার্সোনাল কম্পিউটার’-এর নাম দেখে চমকে উঠেছিলেন সবাই। এবছরও তেমনই এক চমকে ওঠার পালা। এবারের প্রচ্ছদে ম্যান নয়, ওম্যান নয়; না না, এমনকি মেশিনও নয়; প্রকাশিত হয়েছে ‘কিড অফ দ্য ইয়ার’-এর নাম। আর সেই কিশোরী আমেরিকাবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত গীতাঞ্জলি রাও।
বর্তমানে গীতাঞ্জলির বয়স ১৫। ১০ বছর বয়স থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে তার অবাধ ঘোরাফেরা। প্রথম শুরু হয়েছিল জলে সীসার ঘনত্ব বোঝার জন্য ন্যানোটিউব তৈরি দিয়ে। সম্প্রতি অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গীতাঞ্জলি জানিয়েছে, সেদিন তার পরিকল্পনার কথা শুনে তার মা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েকে বাধা দেননি তিনি। এরপর সেই মডেল নিয়ে নানা কোম্পানির কাছে পাঠায় গীতাঞ্জলি। ১০ বছরের মেয়ের কীর্তি দেখে অবাক সকলেই। এরপর তৈরি করেন শরীরে আফিমের নেশার প্রাথমিক লক্ষণ পরীক্ষার যন্ত্র। আর তার সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার, অ্যান্টি সাইবারবুলিং মোবাইল অ্যাপ ‘কাইন্ডলি’ সারা ফেলে দিয়েছে গোটা পৃথিবীতেই।
গীতাঞ্জলির কথায়, সে ঠিক বিজ্ঞানী বা আবিষ্কারক নয়। যা কিছু পুরনো আবিষ্কার, তাকেই নতুন করে সাজিয়ে নেয় সে। আসলে পুরনো পৃথিবীটাকেই তো নতুন করে সাজাতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে। তাই তার মতো বাকিরাও এগিয়ে আসুক, এটাই চায় গীতাঞ্জলি। সে পারলে বাকিরাই বা পারবে না কেন? প্রশ্ন রেখে যায় ১৫ বছরের ছোট্ট গীতাঞ্জলি…
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে লিখে ইংল্যান্ডের পুরস্কার জয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা