হোয়াইট হাউসের বাজেটের দায়িত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা

জো বাইডেনের সচিবালয়কে ঘিরে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল আগে থেকেই। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনোনীত করে সেই আগ্রহ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেন। এরপর ক্যাবিনেটেও একের পর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম উঠে আসতে থাকে। সেই সূত্রেই রবিবার সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আবারও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম উল্লেখ করলেন জো বাইডেন। আমেরিকার অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের ডিরেকটর হিসাবে বাইডেন ঘোষণা করলেন নীরা টানডেনের নাম।

রবিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হয় বাইডেনের ঘোষণা। যদিও এখনও ক্যাবিনেটের অনুমোদন বাকি। কিন্তু সেইসব প্রক্রিয়া পেরিয়ে নীরা টানডেন আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা হিসাবে বাজেটের দায়িত্ব নিতে চলেছেন। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নীরার অভিজ্ঞতা নতুন নয়। ১৭ বছর ধরে সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের সঙ্গে জড়িত তিনি। বর্তমানে সংস্থার সেক্রেটারির পদও তিনি সামলাচ্ছেন। প্রবাসী ভারতীয় পরিবারের মেয়ে নীরা ছোটো থেকেই লিঙ্গ ও বর্ণের কারণে নানা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ফলে আমেরিকাজুড়ে যে লিঙ্গসাম্য এবং জাতিসাম্যের আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার মুখ হিসাবেই নীরা টানডেনকে দেখা যাবে বলে মনে করছেন চিন্তকরা।

নীরা টানডেনের পাশাপাশি জেনেট ইয়েলেনকে কাউন্সিলের ইকোনমিক অ্যাডভাইসার মনোনীত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। সেইসঙ্গে এইদিন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হিসাবে ৬ মহিলা সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। এঁদের মধ্যে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হিসাবে মনোনীত করেছেন জেন সাকির নাম। এই প্রথম মুখ্য প্রচারের দায়িত্বে কোনো মহিলাকে পেতে চলেছে আমেরিকার সচিবালয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বক্তব্য অনুযায়ী, দেশের বৈচিত্র এবং উদারনৈতক চরিত্রই ফুটে উঠছে বাইডেনের ক্যাবিনেট এবং সচিবালয়ে। সেইসঙ্গে আমেরিকায় চলমান লিঙ্গসাম্য এবং জাতিসাম্য আন্দোলনের প্রতিফলন হিসাবে দেখলেও ভুল হবে না। জেন সাকির সঙ্গেই তালিকায় আছে কেট বেডিংফিল্ড, অ্যাশলে এটিনি, পিলি টবার, এবং কেরিন জিন পিয়েরের নাম। প্রসঙ্গত, এঁরা প্রত্যেকেই বিল ক্লিন্টনের সময় থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উপদেষ্টা হিসাবে ছিলেন। তার মধ্যে নীরা টানডেনের বিশেষ অর্থনৈতিক ভাবনাও উল্লেখের দাবি রাখে। শ্রমিকের ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই অর্থনীতির বিকাশে বিশ্বাসী তিনি। সব মিলিয়ে আমেরিকার অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে ২০২০ সালের নির্বাচন যে এক গভীর প্রভাব রাখতে চলেছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্যাবিনেটে কলকাতার অরুণ মজুমদার