চিন নয়, ২০২৩-এই সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত!

২০১১ সালের সেনসাস অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। অন্যদিকে জনসংখ্যার দিক থেকে প্রথম স্থানেই ছিল চিন। তবে ২০২৩ সালের মধ্যেই এই তালিকায় স্থানবদল করবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই রাষ্ট্র। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। আগামী বছর দেড়েকের মধ্যেই চিনকে জনসংখ্যার নিরিখে টপকে যাবে ভারত।

সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগ ‘পপুলেশন প্রসপেক্টস’। রিপোর্টে উল্লেখিত হয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে ভারত ও চিনের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ১৪১.২ ও ১৪২.৬ কোটি। ভারতের থেকে চিন সামান্য এগিয়ে থাকলেও, সেই ব্যবধান মুছবে ২০২৩ সালেই। এমনকি তারপর থেকেই ক্রমশ উল্টোদিকে যাবে জনসংখ্যার গ্রাফ। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান, ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছোঁবে ১৬৭ কোটিতে। অন্যদিকে, জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করে, জনসংখ্যা ১৩২ কোটির মধ্যেই আবদ্ধ রাখবে চিন। 

তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই ভিন্নমত পোষণ করেছে ভারত। জাতীয় জনসংখ্যা কমিশনের অনুমান, ভারতের জনসংখ্যা ১৪১ কোটির মাত্রা ছোঁবে ২০২৫ সালে। এই অনুমান সত্যি হলেও, ২০৩০ সালের মধ্যেই নিশ্চিতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠবে ভারত। 

তবে শুধুমাত্র ভারত নয়, জনসংখ্যা-বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেবে গোটা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরেই ৮০০ কোটির গণ্ডি পেরবে বিশ্বের জনসংখ্যা। ২০৫০ সালে যা গিয়ে পৌঁছাবে ৯৭০ কোটিতে। জন্মহারের নিরিখে প্রথম সারিতেই থাকবে ভারত, পাকিস্তান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া এবং ফিলিপাইনস। 

প্রশ্ন থেকে যায় তবে কি ব্যর্থ হয়েছে ভারতের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের প্রকল্প? না, ব্যাপারটা তেমন না একেবারেই। গত ২৫ বছরের পরিসংখ্যান বলছে ভারতের জনসংখ্যা বেড়েছে ২৫.৬ শতাংশ। অর্থাৎ বছরে প্রায় ১ শতাংশ হারে বেড়েছে জনসংখ্যা। যা আগের থেকে বহু অংশে কম। তবে ভারতের বিশেষ কিছু রাজ্যে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জন্মহার। তাছাড়া মানুষের গড়ু আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। একই কারণে ভারতের কর্মক্ষম মানুষের জনসংখ্যাও যথেষ্ট বেশি। ফলে, দেখা দিচ্ছে চাকরির অভাব, বেকারত্ব। অনুমান, ২০৪৫ সালের পর থেকে কর্মক্ষম জনসংখ্যা খানিকটা হলেও কমবে ভারতে। তবে দেশের অর্থনীতি এবং পরিকাঠামো দৃঢ় করতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে, তা বলাই যায় নির্দ্বিধায়…

Powered by Froala Editor

More From Author See More