করোনার আবহেই ভারত-চিন সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে পরিস্থিতি। সামরিক রক্তক্ষরণের পর দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় চলেছে কূটনৈতিক আলোচনা। তবে দ্বন্দ্বের সমাধান হয়নি এখনো। মধ্যস্থতায় আসেনি পরিস্থিতি। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী চিনকে বার্তা দিয়েছিলেন, সামরিকভাবে তৈরি ভারত। এবার কড়া বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রীও।
গতকাল বিদেশমন্ত্রক চিনকে জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করেছে তারাই। এবং গালওয়ান উপত্যকার ওই অঞ্চল দীর্ঘদিন ঐতিহাসিকভাবে ভারতীয় ভূভাগের অন্তর্গত। গায়ের জোরেই সেখানে অধিকার স্থাপনের চেষ্টা করছে চিন, তা কড়া ভাষায় জানানো হয়। প্রসঙ্গত শনিবার সকালে চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফেও দাবি করা হয় যে ওই অঞ্চলে রয়েছে চিনের অধিকার। এই দাবির যে কোনো সত্যতা নেই, এটি সম্পূর্ণ চিনের কল্পনাপ্রসূত, তা জানানো হয় ভারতের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি চিনের দাবিতে যে অসামঞ্জস্য রয়েছে তা চিহ্নিত করে তুলে ধরেন তিনি। গত ৬ জুন দুই দেশের সংঘর্ষের আগে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল অধিকৃত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে চিনা সৈন্যবাহিনী। এখনও তার বিপরীতে সেই জায়গার অধিকার দাবি করছে চিন। জানা গেছে ওই অধিকৃত অংশেই টহলদারি করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনারা। তবে আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল চিনা বাহিনীর, প্রস্তুত ছিল তাঁরা, জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের সচিব অনুরাগ শ্রীবাস্তব। সীমান্তের শান্তি বিঘ্নিত করলে উপযুক্ত জবাব দিতে পিছপা হবে না ভারতীয় সেনা, স্পষ্ট করে দেন তিনি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সামরিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞাও। এখন দেখার এর পাল্টা উত্তরে কী ভেসে আসে চিনের পক্ষ থেকে। শান্তিরক্ষা না যুদ্ধের বীভৎসতা কোনদিকে এগোবে পরিস্থিতি, তার দিকেই চেয়ে আছে দেশের সাধারণ মানুষ...
Powered by Froala Editor