ওমানের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল শেষ ১০ মিনিটে। এগিয়ে থেকেও ১-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল ভারত। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন কাতারকে যে তাদের ঘরের মাটিতেই রুখে দেবে ইগর স্টিমাকের ছাত্ররা, তা ভাবতে পারেননি ভারতের অতি বড় সমর্থকরাও। কিন্তু সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটিই ঘটিয়ে ফেলেছে ভারতীয় ফুটবল দল। তাও আবার অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই। বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় দলের এই অনবদ্য লড়াকু পারফর্মেন্স হাসি ফুটিয়েছে কোচ স্টিমাকের মুখেও।
কাতারের বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৬১, ভারতের ১০৩। পার্থক্যটা অবশ্য র্যাঙ্কিং দিয়ে মাপা যাবে না কেবল। কাতার গত এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন। ২০২২-এ বিশ্বকাপও কাতারের মাটিতেই। জাতীয় দলকে সেই লক্ষ্যেই তৈরি করছেন স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স স্যাঞ্চেজ বাজ। তারা সম্প্রতি আমন্ত্রিত দল হিসেবে খেলে এসেছে কোপা আমেরিকাও। কাতারেই ক্লাব ফুটবল খেলেন জাভির মতো কিংবদন্তি। সেই কাতারের সমস্ত আক্রমণের চাপই আজ ঠান্ডা মাথায় শুষে নিলেন রাহুল ভিকে, সন্দেশ জিগনান, আদিল খান-রা। গোলের নিচে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন গুরপ্রীত। প্রথমার্ধে দুটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তিনি রুখে দিয়েছেন, দ্বিতীয়ার্ধেও গোটা দুয়েক সেভ। এহেন প্রতিরোধের সামনে দৃশ্যতই অসহায় লাগছিল কাতারের আক্রমণভাগকে।
আর বলতে হবে উদান্তা সিং-এর কথাও। ডানপ্রান্ত দিয়ে গতি বাড়িয়ে বারবার কাতারের লেফট ব্যাককে ছিটকে দিচ্ছিলেন উদান্তা। দু’পায়ে সমান সাবলীল এই উইঙ্গারের টাচ, মাইনাস মনে রাখার মতো। শেষ লগ্নে মনভির সিং-এর সঙ্গে যুগলবন্দিতে কাতারের ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ে একটা অনবদ্য শট নিয়েছিলেন উদান্তা। সামান্যর জন্য সেই শট লক্ষভ্রষ্ট না হলে কাতারের মাটিতে কাল ইতিহাস গড়তে পারতেন ইগর স্টিমাকের ছাত্ররা।
অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে মহামূল্যবান এক পয়েন্ট এসেছে। যোগ্যতা নির্ণয়ের লড়াইতে এখনও টিকে ভারতীয় দল। অঘটন যে ঘটতেই পারে যে-কোনও দিন, তার আভাস কিন্তু দিয়েছে সুনীল ছেত্রী অ্যান্ড কোং। আজ অধিনায়ককে ছাড়াই যে লড়াই তারা করেছে নব্বই মিনিট জুড়ে, সেই লড়াই জারি থাকলে ওমান বা কাতারের সঙ্গে সেকেন্ড লেগের ম্যাচে ভালো ফলাফল হতেই পারে।