এর আগে দেশের রেল ব্যবস্থার বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সব ঠিক থাকলে এবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর ক্ষেত্রেও নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে মোদী প্রশাসন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ার যতটা সম্ভব বিক্রি করতে পারে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংখ্যা আরও কমিয়ে পাঁচটি করে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ঋণ খেলাপি এবং বিভিন্ন কারণের জন্য ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি বেশ বড়ো রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং অর্থ মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ২৭টি ব্যাঙ্ককে যুক্ত করে ১২টিতে কমিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। তা নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্কও হয়েছিল সব মহলে। সূত্রের খবর, আবারও সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্দ ব্যাঙ্ক— প্রথম ধাপে এই ছয়টি ব্যাঙ্কের বেশিরভাগ শেয়ারই বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে খবর। তারপর আস্তে আস্তে সংযুক্তিকরণের দিকে যাওয়া হবে। সব মিলিয়ে পাঁচটির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রাখা হবে না দেশে।
তবে এই পুরো ব্যাপারে এখনও সরকারি কোনো বিবৃতি আসেনি। অর্থমন্ত্রকও মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন পূরণ করতেই একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যত বেশি বেসরকারিকরণ হবে, তত বেশি কোষাগার ভরবে। এর আগেও সরকারের যুক্তি ছিল, পরিষেবার বেশিরভাগটা বেসরকারিকরণ হলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর ও গতিশীল হবে। কিন্তু মানুষের ভরসাটা থাকবে তো? সেই প্রশ্নটাই বারবার তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। লকডাউনের সময় তো বটেই, তার আগেও ভারতের অর্থনীতি খুব একটা ভালো জায়গায় ছিল না। সেইজন্যই কি তাড়াহুড়ো করে এইসব সিদ্ধান্ত? ব্যাঙ্ক নিয়ে এখনও সরকার কিছু বলছে না। কিন্তু এটা সত্যি হলে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই দেখার।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
৪ বাঙালির চারটি ব্যাঙ্ক মিলে তৈরি ইউবিআই, হারিয়ে গেল সেই অস্তিত্বও