একটু একটু করে গোটা দেশ যখন ডিজিট্যাল হয়ে উঠছে, তখনও পাসপোর্ট মানে সেই নীল মলাটের খাতা। আর এটাই আবার দেশের সবচেয়ে বড় পরিচয়পত্র। এদেশের সীমানা পেরিয়ে গেলে অন্য কোনো পরিচয়পত্রেই কিছু প্রমাণ করা যায় না। তবে পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও এবার এই প্রাচীন পদ্ধতির অবসান হতে চলেছে। আর আগামী বছরেই হয়তো আপনি হাতে পেয়ে যাবেন ইলেক্ট্রনিক চিপ দেওয়া সম্পূর্ণ ডিজিট্যাল পাসপোর্ট।
ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ২০ হাজার জন অফিসারের জন্য ই-পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের অভিজ্ঞতাই বলছে, কাজের দিক থেকে সম্পূর্ণ উপযোগী এই ই-পাসপোর্ট। আর সেইসঙ্গে সমস্ত তথ্য ডিজিট্যালি সংরক্ষণ করায় জাল পাসপোর্ট তৈরিও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। তাই দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্যই এবার পাসপোর্টের বৈদ্যুতিন সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালে যাঁরা নতুন পাসপোর্ট বানাবেন কিংবা যাঁরা রিনিউ করাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ই-পাসপোর্টই সরবরাহ করা হবে, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
ইতিমধ্যে দিল্লিতে ন্যাশানাল ইনফরমেশন সেন্টার একটি কেন্দ্র গড়ে তুলেছে যেখানে প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ হাজার ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট তৈরি সম্ভব। সেইসঙ্গে সমস্ত আবেদনকারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং সেই তথ্য যথাযথভাবে নথিভুক্ত করার জন্য শিক্ষিত কর্মচারী বেছে নেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে অনুরোধ এসে পৌঁছলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনআইসি কর্তারা। আর পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিট্যাল হওয়ার কারণে পাসপোর্টের আবেদন থেকে বিদেশে মাইগ্রেশন, সমস্ত কাজই অনেক সহজে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হরিশ