প্রতিদিন উর্ধ্বমুখী গ্রাফ খানিকটা নীম্নগামী হলেই যেন খানিকটা স্বস্তির অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। আর শনিবারের পর থেকে দেশের পরিসংখ্যান বলছে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা একটু একটু করে কমছে। শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে যেখানে ৫৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, রবিবার সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫৫ হাজার এবং সোমবারের পরিসংখ্যানে তা ৫৩ হাজারের নীচে নেমে যায়। তাহলে কি ক্রমশ সুস্থ হওয়ার পথে আমাদের দেশ?
না, এখানেই একটু ভুল থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বোঝা যায় প্রতিদিনে কতগুলি পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে তার উপর দাঁড়িয়ে। আর সেই হিসাব অনুযায়ী সংক্রমণের হার কিন্তু একইভাবে উর্ধ্বমুখী। রবিবার সারাদিনে ৩৮১০২৭ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আর তার মধ্যে ১৩.৯ শতাংশ মানুষের শরীরেই মিলেছে করোনা ভাইরাস। আরও বেশি পরীক্ষা করা সম্ভব হলে হয়তো আরও নমুনা পাওয়া যেত।
এর মধ্যেই গ্রাফ নীম্নমুখী হলেও নতুন আক্রান্তের সংখ্যাতেও ব্রাজিল এবং আমেরিকাকে পিছনে ফেলেছে ভারত। গত ২৪ ঘন্টায় এই দুই দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ হাজার ৮০০ এবং ৪৭ হাজার ৫১১ জন। সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৫২ হাজার ৯৭২ জন। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টার রেকর্ডে বিশ্বে ১ম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। আর এই নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ লক্ষ ৩ হাজার ৬৯৫ জন।
তবে এর মধ্যে একটাই স্বস্তির খবর, সংক্রমণের হার বাড়লেও ভারতে মৃত্যুহার যথেষ্ট কম। দেশে মোট আক্রান্ত মানুষের ৬৫.৭৭ শতাংশই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৭৪ জন। এমনকি উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোনো রাজ্যেই মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়ায়নি। কিন্তু তার পরেও প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়ে চলা সংক্রমণ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে বৈকি। আদৌ কীভাবে মুক্তি মিলবে এই পরিস্থিতি থেকে, সেকথা জানেন না কেউই।
আরও পড়ুন
করোনাকে সঙ্গী করেই কাটাতে হতে পারে জীবন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাপানিরা
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
অজস্র চেষ্টাতেও ঠেকানো গেল না ভাইরাস, করোনায় প্রথম মৃত্যু ভিয়েতনামে