ভারত আর চিনের মধ্যে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। একদিকে প্রশাসনিক পর্যায়ে চলছে বৈঠক, অন্যদিকে দুই তরফেই গোলাবারুদ মজুত করা হচ্ছে। শান্তি প্রক্রিয়া, আলাপ আলোচনা চলাকালীনই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করল চিন। ভারতেও জারি হাই অ্যালার্ট। সব মিলিয়ে চিনের সীমান্তে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও ঘন হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাক-চিন ইকোনমিক করিডোর, উত্তরে চিন সীমান্ত বরাবর ভারতীয় সেনার নতুন রাস্তা এবং তাই নিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব— এই পুরো বিষয়টাই প্রেক্ষাপট হিসেবে উঠে আসছে। করোনার আবহেই মে মাসের গোড়া থেকেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মজুত হতে থাকে। ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় বারবার। প্রশাসনিক স্তরেও জরুরি পর্যায়ের বৈঠক চলে। শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা করা হয় বারবার। কিন্তু শান্তি সত্যিই আসছে কি? কয়েকদিন আগেই অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হল চিনের হাতে। চিনের দিক থেকে হতাহত কত, সে সম্পর্কে এখনও মুখে কুলুপ বেজিংয়ের।
তারই মধ্যে নতুন করে লাদাখ সীমান্তে সেনা মজুত শুরু হল। চিন তো বটেই, ভারতও নিজের সেনা ও অস্ত্র মজুত করছে নিয়ন্ত্রণরেখায়। সব মিলিয়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি যে ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে, সেই কথাই বলছেন অনেকে। রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন— প্রত্যেকেই এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত। শান্তিপ্রক্রিয়া ও আলোচনার দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা। পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশ যেন যুদ্ধের দামামা না বাজায়, সেটাই চাইছেন সবাই।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
চিন-ভারত সংঘর্ষে শহীদ বাংলার রাজেশ ওরাওঁ, শোকের ছায়া বীরভূমের বাড়িতে