প্রতি বছর ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যানের পারদ বাড়ছে। দেশজুড়ে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপর হিংসার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই এবার নতুন পরিকল্পনা রূপায়নের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। অন্তত সংসদীয় প্যানেলের রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ইন্টার-কাস্ট বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমা দেবীর নেতৃত্বে এই রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হয়।
রিপোর্টে বিগত ৫ বছরে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপর হিংসার ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ৫ বছরে তফসিলি জাতির মানুষদের উপর নির্যাতনে ঘটনা ঘটেছে ২ লক্ষের বেশি। আর তফসিলি উপজাতির মানুষের উপর নির্যাতনের সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার। তবে একইভাবে বেড়েছে ইন্টার কাস্ট-বিবাহের সংখ্যাও। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে প্রথম পরিক্ষামূলকভাবে এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তুলে জাতিগত হিংসার মীমাংসা করা।
মূলত আর্থিক প্যাকেজের সাফল্যের উপর নির্ভর করেই এই প্যাকেজকে স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পার্লামেন্টারি বোর্ড। দেখা গিয়েছে, ২০১৬-১৭ সালে এই আর্থিক অনুদানের জন্য ১৭ হাজার পরিবার আবেদন করেছিল। আর ২০১৯-২০ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়ে যায় ২৩ হাজার। প্রকল্প অনুযায়ী, যে পরিবারের স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে একজন তফসিলি জাতি অথবা উপজাতিভুক্ত এবং অপরজন নন, সেই পরিবারই এই আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অবশ্য এই রিপোর্টকে সমালোচনাতেও মুখর হয়েছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, আর্থিক অনুদান দেওয়ার পরেও হিংসার ঘটনা বাড়ছে। আর তার কারণ সচেতনতার অভাব। মানুষের মধ্যে সচেতন প্রচারের কাজে সরকারের ভূমিকা যথেষ্ট কম বলে দাবি করছেন অনেকে। যদিও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে। আর্থিক অনুদান একটা আলাদা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
Powered by Froala Editor