এখনও দাবানলের গ্রাস থেকে মুক্ত হয়নি অস্ট্রেলিয়া। মারা গেছে কয়েক কোটি প্রাণী। এরই মধ্যে সেখানকার প্রশাসনের আরও একটি সিদ্ধান্ত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তাদের। সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, জল বাঁচানোর লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ হাজার উটকে মেরে ফেলা হবে!
শুধু প্রশাসন নয়, অনেক স্থানীয় বাসিন্দাদেরও উটেদের নিয়ে এমন অভিযোগ। তাঁরা বলছেন, এই সময়টা প্রতিবছরই খরার কবলে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, এবং জলও কমে আসে। আর তাতেই ভাগ বসায় উটেরা। অনেক সময় এই জলের জন্য লোকালয়েও ঢুকে পড়ে। বাসিন্দাদের ‘বরাদ্দ’ জল নাকি তারা খেয়ে চলে যায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। আর তাই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তাতে সম্মতি জানিয়েছে সেখানকার আদিবাসীরাও!
৮ জানুয়ারি থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচদিন ধরে হেলিকপ্টার থেকে উটগুলিকে মারা হবে। পাঁচদিন ধরে চলবে এই কর্মকাণ্ড। এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আসে, এই প্রাণীগুলিকে মারলেই কি সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? এটাই কি একমাত্র উপায়? সরব পরিবেশপ্রেমীরাও। কিন্তু বাস্তব সমস্যার ভিত্তিতে, এই প্রতিবাদ কতটা কার্যকরী হবে, তাতে সন্দেহ থেকেই যায়।