পার্লে-জি। এই বিস্কুটের নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে প্রত্যেকের ছোটোবেলার স্মৃতি, নস্টালজিয়া, আবেগ। ভারতের বাজারে মাত্র ৫ টাকায় এই স্বাদ এবং পরিমাণের নিরিখে পার্লে-জির বিকল্প হতে উঠতে পেরেছে এমন ব্র্যান্ড বিরল। বিগত কয়েক বছরে অস্বাভাবিকভাবে বিক্রি কমেছিল পার্লে-জির। তবে লকডাউনেই আবার তার গ্রাহক ফিরে পেল প্রবাদপ্রতিম এই বিস্কুটের ব্র্যান্ড। মাত্র তিন মাসে পার্লের শেয়ার বাড়ল ৫ শতাংশ। যার ৮০-৯০ শতাংশই এসেছে পার্লেজি-র বিক্রি থেকে।
পার্লে জানিয়েছে, লকডাউনে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিস্কুট বিক্রি হয়েছে এই সংস্থাটির। পরিসংখ্যান থেকে উঠে আসছে স্পষ্ট একটি তথ্য। লকডাউনে কর্মহীন, উপার্জন হারানো পরিযায়ী শ্রমিকরাই ঝুঁকেছেন পার্লে-জির দিকে। মাত্র পাঁচ টাকায় খিদে মেটানোর সহজলভ্য খাবার হিসাবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন এই বিস্কুটকেই। পার্লের প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির প্রধান ময়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, যাঁরা রুটি কিনতে পারছেন না লকডাউনে, বিকল্প হিসাবে পার্লে-জিই ভরসা যোগাচ্ছে তাঁদের।
তবে শুধু পরিযায়ী শ্রমিকরা নন। বেশ কিছু রাজ্য সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এই লকডাউনে যোগাযোগ করেছে পার্লের সঙ্গে। একটি বড়ো অংশ ত্রাণের জন্যও কিনেছেন এই মহামারী আবহে। উৎপাদনে যাতে ঘাটতি না হয়, শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পরিবহনেরও ব্যবস্থা করেছিল সংস্থাটি।
ব্রিটিশ ভারতে মুম্বাইতে ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পার্লের কারখানা। ১৯৩৮ থেকে বিস্কুট তৈরি শুরু করে পার্লে। স্বাধীনতার পর পার্লে গ্লুকোজ এক চেটিয়া বাজার দখল করেছিল ভারতের। ২০০৩ সালে বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রিত বিস্কুটের তালিকায় প্রথম স্থান পেয়েছিল এটি। পার্লে-জির মোট লাভের বেশিরভাগটাই আসত গ্রামীণ ভারতের। জিএসটি চালু হওয়ার পর, প্যাকাটে বিস্কুটের সংখ্যা কমায় কমেছিল সেই গ্রাহকের সংখ্যাও। কিন্তু লকডাউনে আরও একবার পার্লে-জি প্রমাণ করে দিল সাধারণের বিস্কুট হিসাবে পার্লে-জির বিকল্প বাজারে এখনো নেই।
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির মুখে ৫০০টিরও বেশি প্রাণী প্রজাতি, সাবধান করে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
Powered by Froala Editor