গাছ কেটে রাস্তা বানাবার ঘটনা নতুন নয়। উন্নয়নের যুক্তিতে গোটা ভারত জুড়েই বৃক্ষ নিধন করা চলেছে দ্রুত হারে। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। সম্প্রতি সামনে এল সে-দেশের পাটগ্রাম-দহগ্রামের রাস্তার দুধারে অনৈতিক ভাবে গাছ পড়ে যাওয়ার।
বাংলাদেশের লালমণিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা। সেই উপজেলারই ওই অঞ্চলটিতে রাস্তা ঠিক করার স্বার্থে ইতিমধ্যেই শিকড় উপড়ে মাটিতে পড়েছে বহু গাছ। অথচ ১৮ কিলোমটার পথ জুড়ে মেহগনি, আকাশমণি ও অনান্য গাছের সংখ্যা সে রাস্তায় নেহাত কম নয়। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই রাস্তার দুধারে সব মিলিয়ে ১৫০০০ গাছ রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই রাস্তাটি। তিন বিঘা করিডর যাওয়ার জন্য ট্যুরিস্টদের রাস্তা এটিই।
গাছ পড়ে যাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ তুঙ্গে। সম্প্রতি ফরমান আলি নামের এক ব্যক্তির অধিকারে রয়েছে ১২০০টি গাছ। গ্রামের বহু লোক এই ঘটনার পিছনে দায়ী করছে তাঁকেই। মূল রাস্তার থেকে বেশ খানিকটা দূরেই এই গাছগুলির অবস্থান। তাও শিকড় উপড়ে পড়ে যাওয়ার এমন ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসীরা।
এই গাছগুলো নিয়ে সম্প্রতি একটি অকশন করা হয়েছিল। অকশানে ওঠা গাছগুলো পড়ে যাওয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে অকশনে ওঠা গাছের বাইরে অন্য কোনও গাছ কেটে ফেললে বা পড়ে গেলে তা নিয়ে তদন্ত করবে বনদপ্তর বিভাগ।
পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রেখেছে গাছ। অথচ তারাই অকশনে ওঠে, কাটা পড়ে অথবা রাস্তায় অনাদরে পড়ে থাকে। তবুও হুশ ফেরে না মানুষের। সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার সদিচ্ছাটুকু নেই বহুজনের। থাকলে এমন ঘটনা বারংবার ঘটত না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। হঠাৎ পরপর গাছ পড়ে যাওয়ার ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।