করোনার সংক্রমণে জেরবার বন্দিজীবন। সর্বত্রই যেন আতঙ্কের ছায়া। ঘরে থেকে, হাত বার বার ধুয়ে, প্রয়োজন মতো স্যানিটাইজ করলেই কি রক্ষা হবে? দোকানে বাজারে খাদ্যদ্রব্য আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলির আদানপ্রদানের মাধ্যমেও তো জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কার অবসান হবে খুব শীঘ্রই। আইআইটি রোপার এই সমস্যার সমাধান করল।
আইআইটি রোপারে গবেষণারত একদল বিজ্ঞানী এই জীবাণুনাশক যন্ত্রটি বানিয়েছেন। আকারে অনেকটাই বাড়িতে ব্যবহৃত ট্রাঙ্কের মতো। তবে সাধারণ ট্রাঙ্ক নয়, এর মধ্যেই রয়েছে অতিবেগুনি রশ্মি নির্গমনের ব্যবস্থা। বাইরে থেকে আনা যেকোনো জিনিস খাদ্যদ্রব্য, টাকার নোট, মোবাইল এবং অন্যান্য সামগ্রী রাখলে, নির্গত শক্তিশালী রশ্মিই ধ্বংস করবে জীবাণুদের। মাত্র ৩০ মিনিট এই যন্ত্রের মধ্যে রাখতে হবে সেই দ্রব্য। তারপর বের করে ঠান্ডা করে নিতে হবে ১০ মিনিট।
অনেকেই খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট, সবজি বাড়িতে গরম জলে ধুয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু বাইরে থেকে আসা হোমডেলিভারি, টাকা, ফোন বা এই ধরণের জিনিসের মাধ্যমে ভাইরাসের আগমন আটকানোর উপায় ছিল না কোনো। তাই জল বা অন্যান্য কোনো জীবাণুনাশক তরল না ব্যবহার করেই, জীবাণুমুক্তির পদ্ধতি সত্যিই অভিনব। এই আবিষ্কারের প্রয়োগ যে সুফল আনবে, তার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী আইআইটি রোপারের বিজ্ঞানী নরেশ রাখা।
তবে এই অভাবনীয় সুবিধা পাওয়া যাবে অত্যন্ত কম খরচেই। দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যেই। মাত্র ৫০০ টাকায় মিলবে এই যন্ত্র। তবে লকডাউনের মধ্যে বন্ধ সমস্ত কারখানা। কবে এই নতুন যন্ত্রের বাণিজ্যিক গণউৎপাদন শুরু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে…