ট্রাইপ্যানোফোবিয়া, চিকিৎসা সঙ্গ জড়িত সকলের কাছেই খুব পরিচিত একটি বিষয়। ইঞ্জেকশনের ছুঁচ দেখে ভয়। পৃথিবীর ১০ জনের মধ্যে গড়ে ২ জনেরই রয়েছে এই ফোবিয়া। যার কারণে বাঘা বাঘা লোকের ক্ষেত্রেও রক্ত দেওয়ার সূচ কিংবা ইঞ্জেকশন দেখলে কালঘাম ছুটে যায়। তবে এবার থেকে সূচ থাকলেও আর লাগবে না ব্যথা। এমনি অভিনব আবিষ্কার করে দেখালো খড়গপুর আইআইটির ছাত্রেরা।
খড়গপুর আইআইটির এই নয়া আবিষ্কার ‘মাইক্রোনিডল’ প্রকৃতপক্ষে ব্যান্ডেজের মতোই একটি প্যাচ। ত্বকের ওপরে লাগিয়ে তার মাধ্যমেই শরীরে ওষুধের প্রবেশ করা যাবে। এই প্যাচটিতে রয়েছে অন্তপক্ষে ১০০টি সরু সরু সূচ। যাদের ব্যাসার্ধ চুলের থেকেও সরু। তবে সরু হলেও দৃঢ়তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই সূচগুলির। ফলত অত্যাধিক সরু হওয়ায় আমাদের স্নায়ুকে স্পর্শ করবে না এই সূচগুলি। অনুভূত হবে না ব্যথাও।
সম্প্রতি এই গবেষণাটির কথা প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রিকা ‘নেচার’-এ। ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিকাল কমিউনিকেশন বিভাগের গবেষক তরুণকান্তি ভট্টাচার্যের মস্তিষ্কপ্রসূত আবিষ্কার এটি। ইতিমধ্যেই তিনট প্রাণীর দেহে এই প্যাচের ব্যবহার সফলতা পেয়েছে। এবার শুধু মানবদেহে ট্রায়াল করে দেখা বাকি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্যাচ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। করোনার ভ্যাকসিন বাজারে এলে ব্যবহৃত হতে পারে এই নতুন ‘মাইক্রোনিডল’। অন্যদিকে ইনসুলিন কিংবা অন্যান্য ওষুধ দেওয়ার জন্যেও কাজে আসবে এই ইঞ্জেকশন। রোগীর কাছে আর ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে না চিকিৎসার...
আরও পড়ুন
শক্তি হারাচ্ছে করোনা, টিকা ছাড়াই শেষ হবে মহামারী; দাবি ইতালির গবেষকের
Powered by Froala Editor