রাস্তার ধারে হাঁটু মুড়ে বসে ভিক্ষা করছেন এক বৃদ্ধ মানুষ। হয়তো কাছে গেলে দেখা যাবে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকুও নেই। এমন দৃশ্য ভারতের কোথাও অপ্রতুল নয়। কিন্তু সেই অসুস্থ ভিখারীর মুখে ইংরেজিতে কথা শুনলে চমক তো লাগবেই। তেমনই চমকে গিয়েছিলেন আশ্রম স্বর্গ সদনের সন্ন্যাসীরা। গোয়ালিয়রের রাস্তায় ৯০ বছরের অচৈতন্য মানুষটি তখন নিজের মনের মধ্যেই কথা বলে চলেছেন। পরে আশ্রমে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর একটু সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর তখনই জানা যায় তাঁর পরিচয়।
৯০ বছরের সুরেন্দ্র বশিষ্ঠ জানিয়েছেন, তিনি ১৯৬৯ সালে কানপুর আইআইটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরপর লক্ষ্ণৌ শহরে আইন নিয়েও পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৭২ সালে পান এলএলএম ডিগ্রি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তাঁকে রীতিমতো উচ্চশিক্ষিত বলা যায়। শুধু ভাগ্যের পরিহাসে আজ তিনি পথের ভিখারী। তাঁর কথায়, ৯০-এর দশকের পর থেকেই আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। নানা জায়গায় ঘুরেও কোথাও কাজ পাননি তিনি। শেষে ভিক্ষা করেই দিন কেটেছে এতগুলো বছর।
কিছুদিন আগেই গোয়ালিয়র শহরের রাস্তা থেকে অসুস্থ অবস্থায় এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করেন আশ্রম স্বর্গ সদনের সন্ন্যাসীরা। তাঁদের সেবাতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এর পরেই সুরেন্দ্র বশিষ্ঠের ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে যায়। দুজনেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন আশ্রমের কর্ণধার বিকাশ গোস্বামী।
Powered by Froala Editor