আকাশের দিকে তাকালে যেসব তারাদের দেখা যায়, তারা অনেকেই বহু আগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসের আগে ফেটে পড়েছে বিরাট বিস্ফোরণে। এই বিস্ফোরণকেই বলে সুপারনোভা। বিজ্ঞানীদের কাছে আজও তা এক রহস্য। কীভাবে ধ্বংস হয় একটি তারা? তার পরেই বা কী হয়? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এবার সেইসব অজানা প্রশ্নেরই উত্তর দিতে চলেছে আইআইটি গুয়াহাটির গবেষকদের গবেষণা। ‘ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণাপত্র।
জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিলেন গুয়াহাটি আইআইটি-র গবেষকরা। তাঁরা দেখিয়েছেন, প্রতিটা নক্ষত্র জন্ম নেয় একটি নিউট্রিনো কণা থেকে। আর সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরেও প্রায় সমস্ত শক্তি বেরিয়ে যায় নিউট্রিনোর আকারেই। একটি নক্ষত্র ধ্বংস হলে তার ৯৯ শতাংশ শক্তিই নিউট্রিনো কণার আকারে মুক্ত হয় বলে দেখিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে বিজ্ঞানীরা দু-ধরণের নিউট্রিনো কণার জন্ম নেওয়ার বৃত্তান্ত জানতেন। নতুন গবেষণায় সন্ধান পাওয়া গেল আরও এক ধরণের নিউট্রিনোর কথা। আর এই তৃতীয় ধরণের কণা থেকেই জন্ম নেয় পরবর্তী নক্ষত্র। আমাদের মহাবিশ্বের যাবতীয় নতুন পদার্থই তৈরি হয় সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে। এই নতুন গবেষণা যে মহাকাশের অনেক রহস্যকেই নতুন করে দেখতে সাহায্য করবে, সেটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আর মহাকাশবিজ্ঞানের এই নতুন দিগন্ত তৈরির পিছনে জড়িয়ে থাকছে ভারতীয় গবেষকদেরই নাম।
Powered by Froala Editor