৭০ নম্বরের একটি প্রশ্নপত্র। তার দুটি অংশে। প্রথম অংশের মান ৪০ নম্বর। তবে অবাক করা সেই প্রশ্ন। পরীক্ষক নিজে কোনো প্রশ্ন না করে পরীক্ষার্থীকেই বলেছেন তার প্রশ্ন ঠিক করতে। তবে তা হতে হবে পাঠক্রমের ভিতর থেকেই। আর ৩০ নম্বর পূর্ণমানের দ্বিতীয় অংশে নিজের তৈরি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সম্প্রতি আইআইটি গোয়ার প্রশ্নপত্র দেখে অবাক পরীক্ষার্থীরাও। সামাজিক মাধ্যমের সূত্রে তা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে এমন প্রশ্নপত্রের যথার্থতা নিয়েও।
করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিপর্যস্ত। এখনও পর্যন্ত সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অনলাইন মাধ্যমে পড়াশোনা কিছুটা এগোলেও সব জায়গায় সমান সুযোগ নেই বলেই অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার ধরণ নিয়েও নানা রকম ভাবনাচিন্তা চলছে দেশজুড়ে। তবে আইআইটি গোয়ার এই প্রশ্নপত্র সবচেয়ে আলাদা। ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের এই প্রশ্নপত্রটিকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্কও। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই পরীক্ষকের এই ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এর ভিতর দিয়ে একজন পরীক্ষার্থীর সার্বিক মূল্যায়ন সম্ভব। আবার অনেকে মনে করছেন, এই প্রশ্নপত্র আসলে অর্থহীন। পরীক্ষক নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতেই এমন করেছেন।
ইতিমধ্যে এই প্রশ্নপত্র নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আইআইটি-র অধ্যাপকরাও। প্রশ্নপত্র মূল্যায়ণের জন্য ইতিমধ্যে তা পাঠানো হয়েছে সেনেটের কাছে। প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর বি কে মিশ্র জানিয়েছেন তিনি সেনেটের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করে আছেন। তবে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত অনুযায়ী এই প্রশ্নপত্র অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং তাঁর কথায়, ‘নোবেল’। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে যখন পড়ুয়ারাও নানারকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের মূল্যায়নের ধরণে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি। তবে কীভাবে এই একজন পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন হবে, সেটা প্রশ্নের মুখে থেকে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকের বক্তব্য শোনার পরেই সেনেট সিদ্ধান্ত নেবে। তবে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দেশের প্রথম ডিজিটাল সয়েল ম্যাপ, ৫ বছরের চেষ্টায় সাফল্য খড়গপুর আইআইটি-র