গোষ্ঠীসংক্রমণ ছড়াচ্ছে ভারতে, আশঙ্কা আইসিএমআর-এর

লকডাউন চলছে। পরীক্ষা চলছে। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না কিছুতেই। বরং বেড়েই যাচ্ছে দিনকে দিন। এমন অবস্থায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ। কিন্তু সেরকম কোনো কিছু তো ঘোষণা হয়নি! সেটা ঠিকই, তবে সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও পরীক্ষা নিরীক্ষা একটু অন্য চিত্রই দেখাচ্ছে।

ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিন থেকে দেখা গেছে, যারা সাম্প্রতিক সময় বিদেশ থেকে ফিরেছেন, প্রধানত তাঁরাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকদিন পর্যন্ত এই কথাই বলা হচ্ছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের তরফ থেকেও একই কথা বলা হয়েছিল। কার্যক্ষেত্রেও সেটাই দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটা নিয়েই সংশয়ের মুখে আইসিএমআর ও দেশের ডাক্তাররা।

করোনা ভাইরাসের অন্যতম প্রধান লক্ষণই হল শ্বাসকষ্ট। এই সমস্যা অন্যান্য অনেক রোগীরই থাকে। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ মার্চের আগে এই ধরনের কোনো রোগীর দেহেই করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু এখন এই অবস্থা বদলেছে; আর সেটাই আশঙ্কার। ইদানিং এমন অনেক মানুষের দেহেও করোনা পাওয়া গেছে, যাঁদের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই বা করোনা সংক্রমণ হয়েছে এমন কারোর সংস্পর্শেও আসেননি। কোনোরকম সংযোগ ছাড়া কী করে ছড়াল করোনা? এইটাই ডাক্তারদের সবচেয়ে ভয়ের জায়গা। তাহলে কি আস্তে আস্তে গোষ্ঠী সংক্রমণের জায়গায় চলে আসছে?

এই আশঙ্কাই করছে আইসিএমআর। সেজন্য শ্বাসকষ্ট হলেই প্রথমে পরীক্ষা করে নেবার কথা বলা হচ্ছে। এরকম অনেক ক্ষেত্রেই করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কাজেই, আর কোনো দিক থেকে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা।