স্বল্প খরচে বেশি পরীক্ষা, বাংলায় তৈরি করোনা কিট পেল ছাড়পত্র

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে দাঁড়িয়ে আছে এই দেশ। সুস্থও হয়েছেন অনেকে, কিন্তু উল্টোদিকে সংক্রমণের হারও কমার লক্ষণ দেখাচ্ছে না। অনেক জায়গায় এখনও ঠিকমতো পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। আর সেটা খরচসাপেক্ষও বটে। এই সমস্যার সমাধানেরই চেষ্টা করেছেন এক বঙ্গসন্তান। আর তাঁর সংস্থার তৈরি করা করোনা কিট ব্যবহারে সবুজ সংকেত দিল আইসিএমআর, নাইসেড-সহ অন্যান্য জাতীয় সংস্থাগুলি।

রাজা মজুমদারের নিজস্ব বায়োটেক সংস্থা বিগত কয়েক বছর ধরে মেডিক্যাল কিট, ইকুইপমেন্ট ও ল্যাব-ভিত্তিক গবেষণার কাজ করছে। খাস শহরাঞ্চল নয়, গ্রাম-মফস্বলের সমস্ত জায়গায় ঘুরে বিস্তীর্ণ অভিজ্ঞতাও হয়েছে তাঁর। সেখানেই দেখেছেন, অনেক জায়গায় করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য যে কিটের দরকার হয়, সেটির অভাব রয়েছে। যেহেতু দাম একটু বেশি, তাই অনেক ল্যাব ও সংস্থার পক্ষে এটি কেনা সম্ভবও নয়। আখেরে ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের। যত বেশি কিট থাকবে, তত বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ততই মঙ্গল বাকিদের… 

এই চিন্তা থেকেই তিনি নিজের সংস্থায় টেস্টিং কিট তৈরি করা শুরু করেন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে। তৈরি করার পর নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদনের জন্য আইসিএমআরের কাছে পাঠানোও হয়। সেখানেই সবুজ সংকেত পায় এই বিশেষ কিটটি। পরবর্তীতে নাইসেডও অনুমোদন দেয়। সম্প্রতি রাজা মজুমদারের সংস্থার তৈরি এই কিটকে লাইসেন্স প্রদান করেছে সিডিএসসিও। রাজাবাবুর দাবি, এই কিট যেমন স্বল্প খরচে পাওয়া যাবে, তেমনই অল্প সময় অনেকগুলো পরীক্ষা করা যাবে। 

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। প্রত্যন্ত গ্রামেও যাতে মানুষরা সুস্থ থাকেন, সেজন্য ল্যাবরেটরিও তৈরি করতে চান তিনি। শুধু করোনা নয়, যাবতীয় ভাইরাস-ঘটিত রোগের নমুনা পরীক্ষা তাহলে সুলভেই করতে পারবেন সেই মানুষগুলো। তাহলে শহরের ল্যাব বা হাসপাতালের ওপর নির্ভর থাকতে হবে না। বাংলার প্রযুক্তিতে তৈরি এমন কিট যাতে সবার কাজে লাগে, সেটাই এখন আশা। 

Powered by Froala Editor

Latest News See More