করোনার চিকিৎসায় নানাভাবে নিরাময়ের রাস্তা খোঁজার চেষ্টায় আছেন গবেষক-চিকিৎসকরা। তারই মধ্যে গোটা বিশ্বে প্লাজমা থেরাপির প্রচলন বেড়েছে অনেক। বাদ নেই ভারত, এবং পশ্চিমবঙ্গও। প্লাজমাকে ব্যবহার করে কীভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব, তারই অনুসন্ধান চালাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। সেই মর্মেই এই রাজ্যের চারটি বেসরকারি সংস্থাকেও প্লাজমা গবেষণার অনুমোদন দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।
ইতিমধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এই পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ গবেষণা শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। এই গবেষণার পরিধি যাতে আরও বাড়ে, তার জন্যই আরও চারটে সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হল। ক্লিনিমেড লাইফ সায়েন্সেস, সল্টলেক আমরি, টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার ও অ্যাপোলো গ্লেনেগলস— এই চারটি সংস্থা ছাড়পত্র পেল। প্লাজমা কতটা কাজ করছে করোনা আক্রান্তের দেহে, কীভাবে কাজ করছে, এই সম্পূর্ণ পদ্ধতিটা নিয়েই যাবতীয় গবেষণা করা হবে।
প্লাজমা পদ্ধতিতে চিকিৎসা যদিও কিছু কিছু জায়গায় শুরুও হয়েছে। দিল্লিতে একজন সুস্থও হয়ে গেছেন। মূলত করোনা রোগী সুস্থ হয়ে গেলে তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে বিশেষ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই ব্যক্তির প্লাজমাই চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি সব জায়গায় কাজ করে কিনা, সেটা নিয়ে নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা। আরও ভালোভাবে জানার জন্যই এই গবেষণা। তাহলে করোনা মোকাবিলায় আরও জোরকদমে নামা যাবে।